বৈদ্যুতিক পাখা খুলে পড়ল মুহসীন হলের পত্রিকাকক্ষে, ‘সঠিক তদারকি’র অভাব বলছেন শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:০৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ২৯৪ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ

হঠাৎ করেই বৈদ্যুতিক পাখা খুলে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের পত্রিকা কক্ষে। হল প্রশাসনের ‘সঠিক তদারকির’ অভাবেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার(৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, ওই কক্ষে সেসময় একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে অক্ষত রয়েছেন তিনি ।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, পাঠকক্ষে আসনসংকটের কারণে হলের পত্রিকাকক্ষে সংবাদপত্র পাঠের পাশাপাশি টেবিলে বসে চাকরি ও একাডেমিক পড়াশোনাও করেন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ৷

তারা বলেন, এই দুর্ঘটনাটি জুমার নামাজের সময় না হলে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। দুর্ঘটনার সময় সেখানে একজন শিক্ষার্থীই ছিলেন। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। হল প্রশাসনের তদারকির অভাবেই এ ঘটনা ঘটে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী বলেন, হল দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নবাবের হালে চলাফেরা করেন। শিক্ষার্থীদের সেবা নিশ্চিত করতে তাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। অনেক সময় সামান্য কাজের জন্য অনেকক্ষণ যাবৎ বসে থাকতে হয়। জিজ্ঞেস করলে বলে যে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি অনুপস্থিত, এই কাজ উনার নয়।

তবে ফ্যান খুলে পড়া প্রসঙ্গে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও অবগত নন তিনি ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বৈদ্যুতিক পাখা খুলে পড়ল মুহসীন হলের পত্রিকাকক্ষে, ‘সঠিক তদারকি’র অভাব বলছেন শিক্ষার্থীরা

Update Time : ১১:০৭:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ

হঠাৎ করেই বৈদ্যুতিক পাখা খুলে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের পত্রিকা কক্ষে। হল প্রশাসনের ‘সঠিক তদারকির’ অভাবেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার(৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, ওই কক্ষে সেসময় একজন শিক্ষার্থী ছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে অক্ষত রয়েছেন তিনি ।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, পাঠকক্ষে আসনসংকটের কারণে হলের পত্রিকাকক্ষে সংবাদপত্র পাঠের পাশাপাশি টেবিলে বসে চাকরি ও একাডেমিক পড়াশোনাও করেন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ৷

তারা বলেন, এই দুর্ঘটনাটি জুমার নামাজের সময় না হলে সেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। দুর্ঘটনার সময় সেখানে একজন শিক্ষার্থীই ছিলেন। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। হল প্রশাসনের তদারকির অভাবেই এ ঘটনা ঘটে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থী বলেন, হল দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নবাবের হালে চলাফেরা করেন। শিক্ষার্থীদের সেবা নিশ্চিত করতে তাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই। অনেক সময় সামান্য কাজের জন্য অনেকক্ষণ যাবৎ বসে থাকতে হয়। জিজ্ঞেস করলে বলে যে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি অনুপস্থিত, এই কাজ উনার নয়।

তবে ফ্যান খুলে পড়া প্রসঙ্গে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও অবগত নন তিনি ।