বাস সুপারভাইজারের ছুরিকাঘাতে আহত যবিপ্রবি শিক্ষার্থী, আটক ১

  • Update Time : ০৭:০০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / 22

মোস্তফা গালিব, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

যশোর শহরের মনিহার বাসস্ট্যান্ডে বাস কন্ডাকটরের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  (যবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটার সময় অতিরিক্ত ভাড়া ও অসদাচরণের প্রতিবাদ করায় বাসের সুপারভাইজারের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আহনাফ  বাঁধন। এ ঘটনায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় ছাত্র-জনতা যশোর-খুলনা-ঢাকা রোডের মনিহার বাসস্ট্যান্ড মোড় অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ উপস্থিত হয় ও তাদের ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে একজনকে আটক করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে ছাত্র-জনতা অবরোধ তুলে নেন।

জানা যায়,  শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর জেলার মণিহার বাস স্ট্যান্ডে বাঁধনের মা নড়াইল থেকে এক বাসে করে ফিরলে তাকে স্ট্যান্ড থেকে রিসিভ করতে যায় বাঁধন। এসময় বেশি ভাড়া নিয়ে টাকা ফেরত না দেওয়ায় বাস কাউন্টারের লোকদের সাথে কথাকাটাকাটি শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে বাস কাউন্টারের লোকজন ঐ শিক্ষার্থী ও তার মায়ের সাথে অসদাচরণ শুরু করলে প্রতিবাদ করে বাঁধন। এক পর্যায়ে বাস কাউন্টারের একজন বাঁধনের গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। তার বন্ধু বান্ধব খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত বাঁধন আপাতত সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, এইখানে যবিপ্রবির জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী বাঁধনের মায়ের সাথে স্টাফরা খারাপ ব্যবহার করে। পরে বাধনকে মারধর করে তার গলার বাম পাশে জখম করে দেয়। এটি একটি হত্যা চেষ্টা। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য আমরা ছাত্র জনতা পুলিশকে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় ও গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এইখানে অবস্থা কর্মসূচি পালন করবো। এরপর পরিস্থিতি আর বেগতিক হয়, আরো শিক্ষার্থী চলে আসে, এবং সেনাবাহিনী দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ জানায় একজন অপরাধী করছে। তাই আমাদের যে কর্মসূচি ছিল সেইটা আমরা প্রত্যাহার করেছি। যশোরের নিরাপত্তার জন্য আমার শঙ্কিত। তাই আমরা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কাছে আবেদন জানিয়েছে একটি যৌথ অভিযানের। যশোরে যেসকল টোকাই সহ সন্ত্রাসী গুষ্ঠি আছে তাদের সকলকে আইনের অ্যতায় আনার। 

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন,  সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একজন শিক্ষার্থীর মায়ের সাথে পরিবহন সুপারভাইজার খারাপ ব্যবহার করে এবং পরবর্তীতে যবিপ্রবির এক ছাত্রকে সেই সুপারভাইজার তার সহযোগীদের নিয়ে ছাত্রের উপর হামলা ও আঘাত করলে তার গলার কিছু অংশ কেটে দেয়। পরে ছাত্ররা সবাই জড়ো হয় দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য। আমরা অভিযান পরিচালনা করে তাদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। এবং ছাত্রদের বলেছি তারা যেন তাদের ক্যাম্পাস এ ফিরে যায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বাস সুপারভাইজারের ছুরিকাঘাতে আহত যবিপ্রবি শিক্ষার্থী, আটক ১

Update Time : ০৭:০০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

মোস্তফা গালিব, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: 

যশোর শহরের মনিহার বাসস্ট্যান্ডে বাস কন্ডাকটরের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  (যবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটার সময় অতিরিক্ত ভাড়া ও অসদাচরণের প্রতিবাদ করায় বাসের সুপারভাইজারের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন যবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবিটি) বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র আহনাফ  বাঁধন। এ ঘটনায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় ছাত্র-জনতা যশোর-খুলনা-ঢাকা রোডের মনিহার বাসস্ট্যান্ড মোড় অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ উপস্থিত হয় ও তাদের ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে একজনকে আটক করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে ছাত্র-জনতা অবরোধ তুলে নেন।

জানা যায়,  শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোর জেলার মণিহার বাস স্ট্যান্ডে বাঁধনের মা নড়াইল থেকে এক বাসে করে ফিরলে তাকে স্ট্যান্ড থেকে রিসিভ করতে যায় বাঁধন। এসময় বেশি ভাড়া নিয়ে টাকা ফেরত না দেওয়ায় বাস কাউন্টারের লোকদের সাথে কথাকাটাকাটি শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে বাস কাউন্টারের লোকজন ঐ শিক্ষার্থী ও তার মায়ের সাথে অসদাচরণ শুরু করলে প্রতিবাদ করে বাঁধন। এক পর্যায়ে বাস কাউন্টারের একজন বাঁধনের গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে গভীর ক্ষত তৈরি হয়। তার বন্ধু বান্ধব খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত বাঁধন আপাতত সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, এইখানে যবিপ্রবির জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী বাঁধনের মায়ের সাথে স্টাফরা খারাপ ব্যবহার করে। পরে বাধনকে মারধর করে তার গলার বাম পাশে জখম করে দেয়। এটি একটি হত্যা চেষ্টা। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য আমরা ছাত্র জনতা পুলিশকে এক ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় ও গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এইখানে অবস্থা কর্মসূচি পালন করবো। এরপর পরিস্থিতি আর বেগতিক হয়, আরো শিক্ষার্থী চলে আসে, এবং সেনাবাহিনী দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ জানায় একজন অপরাধী করছে। তাই আমাদের যে কর্মসূচি ছিল সেইটা আমরা প্রত্যাহার করেছি। যশোরের নিরাপত্তার জন্য আমার শঙ্কিত। তাই আমরা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কাছে আবেদন জানিয়েছে একটি যৌথ অভিযানের। যশোরে যেসকল টোকাই সহ সন্ত্রাসী গুষ্ঠি আছে তাদের সকলকে আইনের অ্যতায় আনার। 

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন,  সন্ধ্যা ৭ টার দিকে একজন শিক্ষার্থীর মায়ের সাথে পরিবহন সুপারভাইজার খারাপ ব্যবহার করে এবং পরবর্তীতে যবিপ্রবির এক ছাত্রকে সেই সুপারভাইজার তার সহযোগীদের নিয়ে ছাত্রের উপর হামলা ও আঘাত করলে তার গলার কিছু অংশ কেটে দেয়। পরে ছাত্ররা সবাই জড়ো হয় দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য। আমরা অভিযান পরিচালনা করে তাদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। এবং ছাত্রদের বলেছি তারা যেন তাদের ক্যাম্পাস এ ফিরে যায়।