বাংলাদেশের সিডস ফর দ্য ফিউচার দল বিশ্বসেরা দশে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৫০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৫৭ Time View

বাংলাদেশের সিডস ফর দ্য ফিউচার দল বিশ্বসেরা দশে

হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ-এর বিজয়ীরা হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘২০২১ টেক ফর গুড’ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের সেরা দশটি দলের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের আটজন সম্ভাবনাময় তরুণ এই মাসে সিডস ফর দ্য ফিউচার এর পরবর্তী ধাপ, ‘২০২১ টেক ফর গুড’ এর বৈশ্বিক সেমিফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

সর্বশেষ হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়; যেখানে বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। গত বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফাইনাল রাউন্ডে শীর্ষ ১৬ শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৩০টি দেশ ও অঞ্চলের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও ‘টেক ফর অল’ প্রতিপাদ্যে তাঁদের প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন জমা দেয়। সেখান থেকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা রাউন্ডে বাংলাদেশের সকলে সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় এবং পরবর্তী পর্যায়ে এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালের ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে আটজন বৈশ্বিক সেমিফাইনাল রাউন্ডে অংশ নিবে যেখানে তাঁরা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইরাক, লিবিয়া, লেবানন, সাউথ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড ও পোল্যান্ড-এর সাথে লড়াই করবে।

বাংলাদেশের দুটি গ্রুপের মধ্যে একটি ‘ডোরাকাটা’ নামে বিশেষ একটি প্রকল্প জমা দেয়, যার মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি উত্থাপনের পাশাপাশি কীভাবে টাইগার সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের সাথে সম্পর্কিত এবং কীভাবে রেঞ্জার ও পশুচিকিৎসকরা স্বয়ংক্রিয় হুমকি মূল্যায়ন এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পশুকে রক্ষা করার জন্য ওয়্যারলেস সেন্সর, ফাইভজি নেটওয়ার্ক, রিয়েল-টাইম মনিটরিংয়ের জন্য ক্লাউড ও এআই এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন সে প্রক্রিয়াটি তুলে ধরেন। এ দলের সদস্যরা হলেন- সৈয়দ দোহা উদ্দিন, নিশাত তাসনিম, মোহতাসিম তাসনিম জামান, সৈয়দা ফাতেমা ফায়রুজ, ইমতিয়াজ আহমেদ, রামিশা রাইদা করিম, মেহেদী হাসান, ফাতেমা ইসলাম তানিয়া।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, “এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০২৬ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণকে ডিজিটাল ও আইসিটি খাতের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে তরুণরা বাংলাদেশের দরুণ এক শক্তি। তাই তাঁদের আইসিটি দক্ষতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে আমরা অনেকদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের তরুণরা সারাবিশ্বে যে স্বীকৃতি অর্জন করেছে তা আমাদের জন্য এবং হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ দলের জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। আমরা আশা করি যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ২০২১ টেকফরগুড এ পরবর্তী মাইলফল অর্জন করতে সক্ষম হবে”।

নির্বাচিত দলের একজন সদস্য রামিশা রাইদা করিম বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা ছিলো, যেখানে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার সাথে সাথে নিজেদের উদ্ভাবনী ধারণা অন্যের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত, আমি শিখছি কীভাবে বাস্তবিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে হয়, কীভাবে একজন প্রকৌশলীর মতো ভাবতে হয় এবং কীভাবে আমার নিজেকে অন্যের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের জন্য নিয়োজিত করতে পারি। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমি আমার দেশের এমন অনেক সমস্যার কথা জানতে পেরেছি যার সম্ভাব্য সমাধান রয়েছে এবং যা প্রযুক্তির আশীর্বাদে সহজেই সমাধান করা যেতে পারে।’

২০০৮ সাল থেকে চলমান শীর্ষস্থানীয় সামাজিক প্রভাব বিষয়ক প্রতিযোগিতা হলো ‘টেক ফর গুড’। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যমান সামাজিক ও পরিবেশগত সংকট সমাধানের সুযোগ প্রদান করে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং অভিজ্ঞ পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে যা তরুণদের বিকাশে কাজে লাগে। প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিনটি দলকে পুরস্কার, অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে এফটুএফ আলোচনা ও সাক্ষাৎ করানো হয়।

সিডস ফর দ্য ফিউচার হলো হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম, যা বিশ্বব্যাপী এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত) ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত এবং এটি আইসিটি খাতের প্রতিভাবানদের অনুপ্রাণিত করে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম চালু হওয়া এই প্রোগ্রামটি শুরু থেকেই আইসিটি খাতের প্রতিভাবানদের পরিচর্যা করছে। এর আগে এই প্রোগ্রামের কয়েকজন বিজয়ী হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের বিজয়ীরা হুয়াওয়ের সদর দপ্তর থেকে অনলাইন প্রশিক্ষণ সেশনে বিস্তৃত প্রশিক্ষণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ধারণা পেয়েছে। তারা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, আইসিটি খাতের প্রধান প্রযুক্তি, ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করে। এর পাশাপাশি, নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তারা একটি বিশেষ সেশনেও অংশগ্রহণ করেন।

এই মাসের শেষের দিকে ‘২০২১ টেক ফর গুড’ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে যেখানে সেরা তিন প্রকল্প ঘোষণা করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বাংলাদেশের সিডস ফর দ্য ফিউচার দল বিশ্বসেরা দশে

Update Time : ১১:৫০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

বাংলাদেশের সিডস ফর দ্য ফিউচার দল বিশ্বসেরা দশে

হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ বাংলাদেশ-এর বিজয়ীরা হুয়াওয়ে আয়োজিত ‘২০২১ টেক ফর গুড’ প্রতিযোগিতায় বিশ্বের সেরা দশটি দলের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের আটজন সম্ভাবনাময় তরুণ এই মাসে সিডস ফর দ্য ফিউচার এর পরবর্তী ধাপ, ‘২০২১ টেক ফর গুড’ এর বৈশ্বিক সেমিফাইনাল রাউন্ডে অংশ নেবে।

সর্বশেষ হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়; যেখানে বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। গত বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ফাইনাল রাউন্ডে শীর্ষ ১৬ শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৩০টি দেশ ও অঞ্চলের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও ‘টেক ফর অল’ প্রতিপাদ্যে তাঁদের প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন জমা দেয়। সেখান থেকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা রাউন্ডে বাংলাদেশের সকলে সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় এবং পরবর্তী পর্যায়ে এই সপ্তাহে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালের ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে আটজন বৈশ্বিক সেমিফাইনাল রাউন্ডে অংশ নিবে যেখানে তাঁরা আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইরাক, লিবিয়া, লেবানন, সাউথ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড ও পোল্যান্ড-এর সাথে লড়াই করবে।

বাংলাদেশের দুটি গ্রুপের মধ্যে একটি ‘ডোরাকাটা’ নামে বিশেষ একটি প্রকল্প জমা দেয়, যার মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি উত্থাপনের পাশাপাশি কীভাবে টাইগার সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের সাথে সম্পর্কিত এবং কীভাবে রেঞ্জার ও পশুচিকিৎসকরা স্বয়ংক্রিয় হুমকি মূল্যায়ন এবং দ্রুত সাড়া প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পশুকে রক্ষা করার জন্য ওয়্যারলেস সেন্সর, ফাইভজি নেটওয়ার্ক, রিয়েল-টাইম মনিটরিংয়ের জন্য ক্লাউড ও এআই এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন সে প্রক্রিয়াটি তুলে ধরেন। এ দলের সদস্যরা হলেন- সৈয়দ দোহা উদ্দিন, নিশাত তাসনিম, মোহতাসিম তাসনিম জামান, সৈয়দা ফাতেমা ফায়রুজ, ইমতিয়াজ আহমেদ, রামিশা রাইদা করিম, মেহেদী হাসান, ফাতেমা ইসলাম তানিয়া।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, “এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২০২৬ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণকে ডিজিটাল ও আইসিটি খাতের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে তরুণরা বাংলাদেশের দরুণ এক শক্তি। তাই তাঁদের আইসিটি দক্ষতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে আমরা অনেকদিন থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের তরুণরা সারাবিশ্বে যে স্বীকৃতি অর্জন করেছে তা আমাদের জন্য এবং হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ দলের জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। আমরা আশা করি যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ২০২১ টেকফরগুড এ পরবর্তী মাইলফল অর্জন করতে সক্ষম হবে”।

নির্বাচিত দলের একজন সদস্য রামিশা রাইদা করিম বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা ছিলো, যেখানে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার সাথে সাথে নিজেদের উদ্ভাবনী ধারণা অন্যের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত, আমি শিখছি কীভাবে বাস্তবিক সমস্যাগুলো সমাধান করতে হয়, কীভাবে একজন প্রকৌশলীর মতো ভাবতে হয় এবং কীভাবে আমার নিজেকে অন্যের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের জন্য নিয়োজিত করতে পারি। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমি আমার দেশের এমন অনেক সমস্যার কথা জানতে পেরেছি যার সম্ভাব্য সমাধান রয়েছে এবং যা প্রযুক্তির আশীর্বাদে সহজেই সমাধান করা যেতে পারে।’

২০০৮ সাল থেকে চলমান শীর্ষস্থানীয় সামাজিক প্রভাব বিষয়ক প্রতিযোগিতা হলো ‘টেক ফর গুড’। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যমান সামাজিক ও পরিবেশগত সংকট সমাধানের সুযোগ প্রদান করে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং অভিজ্ঞ পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে যা তরুণদের বিকাশে কাজে লাগে। প্রতিযোগিতার শীর্ষ তিনটি দলকে পুরস্কার, অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে এফটুএফ আলোচনা ও সাক্ষাৎ করানো হয়।

সিডস ফর দ্য ফিউচার হলো হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম, যা বিশ্বব্যাপী এসটিইএম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত) ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত এবং এটি আইসিটি খাতের প্রতিভাবানদের অনুপ্রাণিত করে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম চালু হওয়া এই প্রোগ্রামটি শুরু থেকেই আইসিটি খাতের প্রতিভাবানদের পরিচর্যা করছে। এর আগে এই প্রোগ্রামের কয়েকজন বিজয়ী হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের বিজয়ীরা হুয়াওয়ের সদর দপ্তর থেকে অনলাইন প্রশিক্ষণ সেশনে বিস্তৃত প্রশিক্ষণ এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ধারণা পেয়েছে। তারা টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, আইসিটি খাতের প্রধান প্রযুক্তি, ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করে। এর পাশাপাশি, নেতৃত্বের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তারা একটি বিশেষ সেশনেও অংশগ্রহণ করেন।

এই মাসের শেষের দিকে ‘২০২১ টেক ফর গুড’ প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে যেখানে সেরা তিন প্রকল্প ঘোষণা করা হবে।