বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু

  • Update Time : ১১:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 13

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় ৬ দিন বন্ধ থাকার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ২০০-২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক (ত.প্র.) উৎপল কুমার সাহা।

জানা যায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) পরিচালিত বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইলেক্ট্র-হাইড্রোলিক ওয়েল পাম্পের ত্রুটির কারণে গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া এই কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি ওভারহোল্ডিং কাজের জন্য গত ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকেই বন্ধ রয়েছে। ফলে ৯ সেপ্টেম্বর থেকেই এই কেন্দ্রের উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।

সেদিন থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখান থেকে কোনো বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছিল না। এতে করে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যায় পুরো দেশে। ওই সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এক সপ্তাহের মধ্যে ১ নম্বর ইউনিট এবং ২ সপ্তাহের মধ্যে ৩ নম্বর ইউনিট চালু করার ঘোষণা দেয়। এরপরই গত ১২ সেপ্টেম্বর ১ নম্বর ইউনিটটি চালু করে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ২০০-২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ, মোট প্রায় ২৬০ থেকে ২৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৩টি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি ১২৫ করে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন। আর ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন। ৩টি ইউনিট মিলে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট।

৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, রোববার দুপুর ২টার দিকে তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে। এতে করে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটাই কমে আসবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু

Update Time : ১১:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় ৬ দিন বন্ধ থাকার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বর্তমানে এই ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ২০০-২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক (ত.প্র.) উৎপল কুমার সাহা।

জানা যায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) পরিচালিত বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইলেক্ট্র-হাইড্রোলিক ওয়েল পাম্পের ত্রুটির কারণে গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ১ নম্বর ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া এই কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি ওভারহোল্ডিং কাজের জন্য গত ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকেই বন্ধ রয়েছে। ফলে ৯ সেপ্টেম্বর থেকেই এই কেন্দ্রের উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।

সেদিন থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখান থেকে কোনো বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছিল না। এতে করে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যায় পুরো দেশে। ওই সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এক সপ্তাহের মধ্যে ১ নম্বর ইউনিট এবং ২ সপ্তাহের মধ্যে ৩ নম্বর ইউনিট চালু করার ঘোষণা দেয়। এরপরই গত ১২ সেপ্টেম্বর ১ নম্বর ইউনিটটি চালু করে কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ১ নম্বর ইউনিট থেকে ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এবং ৩ নম্বর ইউনিট থেকে ২০০-২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ, মোট প্রায় ২৬০ থেকে ২৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৩টি ইউনিট রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি ১২৫ করে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন। আর ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন। ৩টি ইউনিট মিলে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট।

৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, রোববার দুপুর ২টার দিকে তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করছে। এতে করে লোডশেডিংয়ের মাত্রা অনেকটাই কমে আসবে।