“প্রভাতী সংঘ”র নামে মিথ্যা ও ভূল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে

  • Update Time : ০৫:০৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 6

মো. সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন সড়কে অবস্থিত ১৯৭২ সালে গঠিত ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “প্রভাতী সংঘ” ছাত্রদল এবং যুবদলের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে এমন একটি মিথ্যা ও ভুল তথ্য ২২ সেপ্টেম্বর/২০২৪ ইং তারিখ প্রচার করা হয় দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন পত্রিকায়। সংগঠনটি’র বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

“প্রভাতী সংঘ”র বর্তমান প্রস্তাবিত কমিটির সাধারন সম্পাদক- রাশেদুর রহমান রাশু জানান- “সামাজিক ও সাংস্কৃতিমনা মানুষের চেষ্টায়  ১৯৭২ সালে বেনাপোল স্টেশন রোডে প্রভাতী সংঘ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে ওঠে। যার রেজিঃ নম্বর ১০১/৭৬। সে সময় বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক কাওসার আলী ও আতাহার আলী স্যারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এ সংঘটি পরিচালনা করতেন। সর্বশেষ সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও সাবেক শার্শা ছাত্রদল সভাপতি-মোস্তাফিজ্জোহা সেলিমের সম্বন্বয়ে গঠিত কমিটি প্রভাতী সংঘটি পরিচালনা করে  আসছিলেন। সে কমিটির মেয়াদও ২০১৮ সালে শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে একটি প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যরা প্রভাতী সংঘের জরাজীর্ন কার্য্যলয়টি সংস্কার করার কাজ করছিলেন। এ অবস্থায় মাঝে মাঝে সন্ধ্যার দিকে কমিটির সদস্যদের নিয়ে আমরা সেখানে বসতাম। কিন্ত গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভাতী সংঘের কার্য্যলয় ছাত্রদল ও যুবদল কর্মিরা দখল নিয়েছে এ শিরোনামে একটি সংবাদ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশ হয়। 

প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট”। 

“একটি কুচক্রি মহল আমাদের প্রভাতী সংঘটি নিয়ে রাজনীতি করছে, এতে সংঘনটি’র মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে এলাকার মানুষের মনে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

আমাদের প্রভাতী সংঘটি কোন রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে আগেও কখনও ছিলনা বর্তমানেও কোন রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছেনা। এটা একটি স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ ও সমাজসেবীদের সমম্বয়ে গঠিত কমিটি সংঘটি পরিচালনা করে থাকেন। প্রভাতী সংঘের নতুন করে সংস্কার করা কার্যালয়টি আগেও প্রভাতী সংঘের দখলে ছিল এখনও প্রভাতী সংঘের দখলে আছে। নতুন সংস্কার করা কার্যালয়ে এখনও কোন চেয়ার টেবিল বা কোন আসবাবপত্র রাখা হয়নি।গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভাতী সংঘের কার্যালয় ছাত্রদল ও যুবদল কর্মিরা দখল নিয়েছে এ শিরোনামে যে সংবাদ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইনে  প্রকাশিত হয়েছে সংবাদটি মিথ্যা ,বানোয়াট ও মনগড়া”।  

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে শার্শা থানা যুবদলের সদস্য সচিব- ইমদাদুল হক ইমদা জানান-“আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা আছে, কোন নেতাকর্মীরা কোন দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকতে পারবে না। আমাদের নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী শার্শা উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। শার্শা উপজেলা যুবদল বা ছাত্রদলের কোন নেতা কর্মীরা এ ধরনের দখল বাণিজ্যের সাথে জড়িত নয়। একটি কুচক্রীমহল বিএনপি’কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে”।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

“প্রভাতী সংঘ”র নামে মিথ্যা ও ভূল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে

Update Time : ০৫:০৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মো. সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন সড়কে অবস্থিত ১৯৭২ সালে গঠিত ঐতিহ্যবাহী স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “প্রভাতী সংঘ” ছাত্রদল এবং যুবদলের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে এমন একটি মিথ্যা ও ভুল তথ্য ২২ সেপ্টেম্বর/২০২৪ ইং তারিখ প্রচার করা হয় দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন পত্রিকায়। সংগঠনটি’র বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

“প্রভাতী সংঘ”র বর্তমান প্রস্তাবিত কমিটির সাধারন সম্পাদক- রাশেদুর রহমান রাশু জানান- “সামাজিক ও সাংস্কৃতিমনা মানুষের চেষ্টায়  ১৯৭২ সালে বেনাপোল স্টেশন রোডে প্রভাতী সংঘ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে ওঠে। যার রেজিঃ নম্বর ১০১/৭৬। সে সময় বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক কাওসার আলী ও আতাহার আলী স্যারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এ সংঘটি পরিচালনা করতেন। সর্বশেষ সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও সাবেক শার্শা ছাত্রদল সভাপতি-মোস্তাফিজ্জোহা সেলিমের সম্বন্বয়ে গঠিত কমিটি প্রভাতী সংঘটি পরিচালনা করে  আসছিলেন। সে কমিটির মেয়াদও ২০১৮ সালে শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে একটি প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যরা প্রভাতী সংঘের জরাজীর্ন কার্য্যলয়টি সংস্কার করার কাজ করছিলেন। এ অবস্থায় মাঝে মাঝে সন্ধ্যার দিকে কমিটির সদস্যদের নিয়ে আমরা সেখানে বসতাম। কিন্ত গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভাতী সংঘের কার্য্যলয় ছাত্রদল ও যুবদল কর্মিরা দখল নিয়েছে এ শিরোনামে একটি সংবাদ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশ হয়। 

প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট”। 

“একটি কুচক্রি মহল আমাদের প্রভাতী সংঘটি নিয়ে রাজনীতি করছে, এতে সংঘনটি’র মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে এলাকার মানুষের মনে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

আমাদের প্রভাতী সংঘটি কোন রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে আগেও কখনও ছিলনা বর্তমানেও কোন রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছেনা। এটা একটি স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ ও সমাজসেবীদের সমম্বয়ে গঠিত কমিটি সংঘটি পরিচালনা করে থাকেন। প্রভাতী সংঘের নতুন করে সংস্কার করা কার্যালয়টি আগেও প্রভাতী সংঘের দখলে ছিল এখনও প্রভাতী সংঘের দখলে আছে। নতুন সংস্কার করা কার্যালয়ে এখনও কোন চেয়ার টেবিল বা কোন আসবাবপত্র রাখা হয়নি।গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রভাতী সংঘের কার্যালয় ছাত্রদল ও যুবদল কর্মিরা দখল নিয়েছে এ শিরোনামে যে সংবাদ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইনে  প্রকাশিত হয়েছে সংবাদটি মিথ্যা ,বানোয়াট ও মনগড়া”।  

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে শার্শা থানা যুবদলের সদস্য সচিব- ইমদাদুল হক ইমদা জানান-“আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা আছে, কোন নেতাকর্মীরা কোন দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকতে পারবে না। আমাদের নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী শার্শা উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। শার্শা উপজেলা যুবদল বা ছাত্রদলের কোন নেতা কর্মীরা এ ধরনের দখল বাণিজ্যের সাথে জড়িত নয়। একটি কুচক্রীমহল বিএনপি’কে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে”।