প্রধানমন্ত্রী সব ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করেছেন: মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৮:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১
  • / ২৪৩ Time View

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন বলেছেন, যারা ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছিল তারাই পুজা মন্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছিলো। এটা এখন স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। তিনি সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান।

আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) খুলনা প্রেস ক্লাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের করনীয় কি-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

তিনি বলেন, ২১ আগস্টের বিভীষিকাময় বিকেলের গ্রেনেড হামলার বিষয়টি নিছক একটি সন্ত্রাসী ঘটনা ছিল না। এটা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে যেমন বাংলাদেশের রাজনীতির পশ্চাৎযাত্রা শুরু হয়েছিল, তার ধারাবহিকতায়ই ২১ আগষ্ট ঘটানো হয়েছিল আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য, ক্ষমতার রাজনীতিতে দলটিকে অকার্যকর করার জন্য। কিন্তু এই কাজে যে জঙ্গি গোষ্ঠীকে ‘হায়ার’ করা হয়েছিল তারা সম্ভবত তাড়াহুড়া করতে গিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। শেখ হাসিনাসহ দলের শীর্ষ নেতাদের জীবন রক্ষা পেলেও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ কমপক্ষে ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ তিনশ রও বেশি নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন। এদের অনেকেই সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কেউ কেউ এখনও শরীরে অসংখ্য স্প্লিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। ২১ আগষ্টের বীভৎস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে।

২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। দেশে কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে প্রাথমিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গ্রেনেড হামলার মতো এতবড় অপরাধ যারা করেছিল তাদের চিহ্নিত করা, গ্রেপ্তার করা এবং আইনের হাতে সোপর্দ করার জরুরি কর্তব্যটি তৎকালীন সরকার সম্পাদনে কেবল চরমভাবে ব্যর্থতারই পরিচয় দেয়নি, বরং ঘটনা প্রবাহ অন্যখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টাই চালিয়েছে।

সে সময়ে ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ‘হাওয়া ভবনে’ তারেক রহমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উপস্থিতিতে হামলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এটাও আমাদের জানা আছে যে, তখন সরকার জজ মিয়া নামের একজন ছিঁচকে অপরাধীকে গ্রেফতার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সরকার তখন শৈবাল সাহা পার্থ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেও নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছিল।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। বাংলাদেশের জন্য এক অন্ধকার সময় দাবি কওে ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনের আগেই বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের মদদে প্রায় তিন শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করে।

হাজার হাজার সংখ্যালঘু মানুষ বাস্তুভিটা থেকে আশ্রয়হীন অবস্থায় পাড়ি জমায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে, শহরের মহল্লায়। তারপরও জীবন রক্ষা হয়নি। অনেকে পাঁচ বছর ধরে বাস্তুভিটায় ফিরেও আসতে পারেনি।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, টানা পাঁচ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সামসুল ইসলামকে সন্ত্রাসীরা জবাই করে হত্যা করে । ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনায় হত্যা করা হয় ডেইলি নিউজের খুলনা প্রতিনিধি মানিক সাহাকে।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত মৌলবাদী জঙ্গীরা সারাদেশে ৬৩ জেলা ৫০০ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায়। আফগানিস্থানে আল-কায়েদার পক্ষে যুদ্ধ করা জঙ্গীরা সরকারের মদদে গড়ে সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠন, জেএমবি।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হত্যা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ। অতর্কিতে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের মদদপুষ্ট জেএমবি ক্যাডার আতাউর রহমান সানীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি জামাত জোট চক্রের অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট, দুর্নীতি, হত্যা, রাহাজানী, ধর্ষণ, শিক্ষা ব্যবস্থার বিপর্যয়, কৃষি বিপর্যয়, বিদ্যুৎ বিপর্যয় ইত্যাদি।

দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় নজিরবিহীন ভূমিকা রেখেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং এর পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এবং সকল উপজাতিদের দেশের মধ্যে সহাবস্থান নিশ্চিত করেছেন সেটার নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ না হলে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা সম্ভব হতো না।

তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী এবং তাদের দোসরদের গ্রেফতারের আওতায় আনতে হবে। মসজিদ ,মন্দির,পূজা মন্ডপ, ঈদগা এরূপ ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, অধ্যক্ষ মাওঃ মুফতি ইলিয়াস হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি। আরো বন্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা মুফতি মোস্তফা চৌধুরী (প্রেসিডিয়াম সদস্য), আলহাজ্ব মোঃ শাহিন খান (প্রেসিডিয়াম সদস্য), মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, মাওলানা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জাকারিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন কাশেমি, মাওলানা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুর রহমান, ক্বারি মোহাম্মদ ইমদাত, সহ শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখ গণ।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রধানমন্ত্রী সব ধর্মের সহাবস্থান নিশ্চিত করেছেন: মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল

Update Time : ০৮:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন বলেছেন, যারা ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছিল তারাই পুজা মন্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছিলো। এটা এখন স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। তিনি সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান।

আজ শনিবার (২০ নভেম্বর) খুলনা প্রেস ক্লাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের করনীয় কি-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

তিনি বলেন, ২১ আগস্টের বিভীষিকাময় বিকেলের গ্রেনেড হামলার বিষয়টি নিছক একটি সন্ত্রাসী ঘটনা ছিল না। এটা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে যেমন বাংলাদেশের রাজনীতির পশ্চাৎযাত্রা শুরু হয়েছিল, তার ধারাবহিকতায়ই ২১ আগষ্ট ঘটানো হয়েছিল আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য, ক্ষমতার রাজনীতিতে দলটিকে অকার্যকর করার জন্য। কিন্তু এই কাজে যে জঙ্গি গোষ্ঠীকে ‘হায়ার’ করা হয়েছিল তারা সম্ভবত তাড়াহুড়া করতে গিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। শেখ হাসিনাসহ দলের শীর্ষ নেতাদের জীবন রক্ষা পেলেও আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ কমপক্ষে ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ তিনশ রও বেশি নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন। এদের অনেকেই সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। কেউ কেউ এখনও শরীরে অসংখ্য স্প্লিন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। ২১ আগষ্টের বীভৎস হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে।

২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। দেশে কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে প্রাথমিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, গ্রেনেড হামলার মতো এতবড় অপরাধ যারা করেছিল তাদের চিহ্নিত করা, গ্রেপ্তার করা এবং আইনের হাতে সোপর্দ করার জরুরি কর্তব্যটি তৎকালীন সরকার সম্পাদনে কেবল চরমভাবে ব্যর্থতারই পরিচয় দেয়নি, বরং ঘটনা প্রবাহ অন্যখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টাই চালিয়েছে।

সে সময়ে ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ‘হাওয়া ভবনে’ তারেক রহমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উপস্থিতিতে হামলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এটাও আমাদের জানা আছে যে, তখন সরকার জজ মিয়া নামের একজন ছিঁচকে অপরাধীকে গ্রেফতার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সরকার তখন শৈবাল সাহা পার্থ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেও নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছিল।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল। বাংলাদেশের জন্য এক অন্ধকার সময় দাবি কওে ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনের আগেই বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের মদদে প্রায় তিন শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করে।

হাজার হাজার সংখ্যালঘু মানুষ বাস্তুভিটা থেকে আশ্রয়হীন অবস্থায় পাড়ি জমায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে, শহরের মহল্লায়। তারপরও জীবন রক্ষা হয়নি। অনেকে পাঁচ বছর ধরে বাস্তুভিটায় ফিরেও আসতে পারেনি।

লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, টানা পাঁচ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সামসুল ইসলামকে সন্ত্রাসীরা জবাই করে হত্যা করে । ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনায় হত্যা করা হয় ডেইলি নিউজের খুলনা প্রতিনিধি মানিক সাহাকে।

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত মৌলবাদী জঙ্গীরা সারাদেশে ৬৩ জেলা ৫০০ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায়। আফগানিস্থানে আল-কায়েদার পক্ষে যুদ্ধ করা জঙ্গীরা সরকারের মদদে গড়ে সশস্ত্র জঙ্গী সংগঠন, জেএমবি।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হত্যা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক ড. হুমায়ুন আজাদ। অতর্কিতে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের মদদপুষ্ট জেএমবি ক্যাডার আতাউর রহমান সানীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী।

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি জামাত জোট চক্রের অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট, দুর্নীতি, হত্যা, রাহাজানী, ধর্ষণ, শিক্ষা ব্যবস্থার বিপর্যয়, কৃষি বিপর্যয়, বিদ্যুৎ বিপর্যয় ইত্যাদি।

দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় নজিরবিহীন ভূমিকা রেখেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং এর পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এবং সকল উপজাতিদের দেশের মধ্যে সহাবস্থান নিশ্চিত করেছেন সেটার নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ না হলে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা সম্ভব হতো না।

তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী এবং তাদের দোসরদের গ্রেফতারের আওতায় আনতে হবে। মসজিদ ,মন্দির,পূজা মন্ডপ, ঈদগা এরূপ ধর্মীয় উপাসনালয় গুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, অধ্যক্ষ মাওঃ মুফতি ইলিয়াস হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি। আরো বন্তব্য রাখেন, হাফেজ মাওলানা মুফতি মোস্তফা চৌধুরী (প্রেসিডিয়াম সদস্য), আলহাজ্ব মোঃ শাহিন খান (প্রেসিডিয়াম সদস্য), মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, মাওলানা মোহাম্মদ আবুল খায়ের জাকারিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন কাশেমি, মাওলানা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মোহাম্মদ রফিকুর রহমান, ক্বারি মোহাম্মদ ইমদাত, সহ শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখ গণ।