প্রণোদনার ঋণ ফেরত দিতে সময় চাইলো বিকেএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২
  • / ১৩৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রণোদনার ঋণের অর্থ ফেরত দিতে আরও সময় চেয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা। বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময়ের কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয় ওই চিঠিতে।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে ঋণের বাকি ১৪ কিস্তি দিতে ৪২ মাস সময় চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয় সংগঠনটি।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্রয়াদেশ পেতে শুরু করে কারখানাগুলো। কিন্ত নানা কারণে তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ বহু গুণে বেড়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সঙ্কটকালেও তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা লোকসান দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে রপ্তানি আদেশ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী জাহাজ ও কনটেইনার সঙ্কটের কারণে রপ্তানি পণ্য সময়মতো জাহাজীকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এখনো ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত করছে। ক্ষেত্রবিশেষে মূল্যছাড় দেয়াসহ নানা শর্ত আরোপ করছে।

করোনাকালের প্রথম ঢেউয়ের সময় শ্রমিকদের মজুরি দিতে প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করে সরকার। সেই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে দেড় হাজারের বেশি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের মালিক শ্রমিকদের ৪ মাসের মজুরি পরিশোধ করেন। সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধে মালিকেরা বারবার সময় চাইলেও সরকার মেনে নেয়। সেই সময় শেষে ঋণ পরিশোধ শুরু করেছেন মালিকেরা। তবে আবার ঋণ পরিশোধেও সময় চাইছেন পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

প্রণোদনার ঋণ ফেরত দিতে সময় চাইলো বিকেএমইএ

Update Time : ১০:৫১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রণোদনার ঋণের অর্থ ফেরত দিতে আরও সময় চেয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা। বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ঋণ পরিশোধে বাড়তি সময়ের কথা জানানো হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয় ওই চিঠিতে।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে ঋণের বাকি ১৪ কিস্তি দিতে ৪২ মাস সময় চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয় সংগঠনটি।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্রয়াদেশ পেতে শুরু করে কারখানাগুলো। কিন্ত নানা কারণে তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ বহু গুণে বেড়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রেখেছে পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সঙ্কটকালেও তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা লোকসান দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে রপ্তানি আদেশ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী জাহাজ ও কনটেইনার সঙ্কটের কারণে রপ্তানি পণ্য সময়মতো জাহাজীকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এখনো ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত করছে। ক্ষেত্রবিশেষে মূল্যছাড় দেয়াসহ নানা শর্ত আরোপ করছে।

করোনাকালের প্রথম ঢেউয়ের সময় শ্রমিকদের মজুরি দিতে প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করে সরকার। সেই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে দেড় হাজারের বেশি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের মালিক শ্রমিকদের ৪ মাসের মজুরি পরিশোধ করেন। সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধে মালিকেরা বারবার সময় চাইলেও সরকার মেনে নেয়। সেই সময় শেষে ঋণ পরিশোধ শুরু করেছেন মালিকেরা। তবে আবার ঋণ পরিশোধেও সময় চাইছেন পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা।