পটুয়াখালীর লোহালিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক সেবার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরী
- Update Time : ০৮:২৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
- / 221
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন ব্যহত হওয়ার একমাত্র অন্তরায় হচ্ছে ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল না থাকা। পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের উত্তর লোহালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সরেজমিনে গেলে এমন চিত্র উঠে আসে।
.
ক্লিনিকটি তৎকালীন প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কর্তৃক ৩ মার্চ ২০১৫ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় এবং এটি যথা সময়ে চালু হয়ে ঐ এলাকার প্রায় ছয় হাজার লোকের নিয়মিত সেবা দিয়ে আসছে। সে সময় ক্লিনিকের জন্য ০.১০ শতাংশ জমি দান করেন মরহুম আর্শেদ আলী মোল্লা, তিনি সার্বিক দেখাশোনাও করেন। তার মৃত্যুর পরে তার ছেলে সুলতান আহমেদ মোল্লা দায়ীত্বে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন, বর্তমানে ক্লিনিকের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছেন মরহুম আর্শেদ আলী মোল্লার নাতী এস আই নাজমুল ইসলাম হান্নান। জানা যায়, উত্তর লোহালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি নাজমুল ইসলাম হান্নান এর সহযোগিতায় ঔষধসহ প্রয়োজনীয় সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে হান্নান একটি বড় ভূমিকা পালন করছে।
.
ক্লিনিকের দায়ীত্বে থাকা সি এইচ সি পি মোঃ সোহাগ হোসেন বিডিসমাচার কে বলেন, ক্লিনিক শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোল্লা পরিবারটি বিশেষ করে নাজমুল ইসলাম হান্নানের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেবা কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নাজমুল ইসলাম হান্নান ক্লিনিক তথা সেবা গৃহিতাদের স্বার্থে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে, এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং সেবার মান ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ক্লিনিকের সামনের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা অতিব জরুরী এবং ক্লিনিকে আসা রোগীদের বসার জন্য একটি ঘর হলে ক্লিনিকের প্রাথমিক সেবার মানোন্নয়ন বৃদ্ধিসহ ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানো সহজ হবে। ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তিরা বিডিসমাচার কে জানান, ক্লিনিকে আসার রাস্তাটি না থাকায় অনেক কষ্ট করে বিশেষ করে বৃষ্টির সময় সেবা পাওয়া দূরহ। এমনকি গর্ভবতী মায়েদের সেবা নিশ্চিতে ব্যহত হচ্ছে, এ রাস্তাটি পাকা হলে ঐ এলাকার মানুষ শতভাগ স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসবে এবং স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
.
এ বিষয় মুঠোফোনে কথা হলে পটুয়াখালী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রেজওয়ানুর আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে স্বাস্থ্য সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উত্তর লোহালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয় ইতিপূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে আসা করছি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।
.
সার্বিক সহযোগীতার বিষয় নাজমুল ইসলাম হান্নানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু ঐ অঞ্চলের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য তখন কোন ব্যবস্থা ছিল না এবং এলাকায় ক্লিনিক করার জন্য কেউ জমি দিচ্ছিল না তখন আমার দাদা মরহুম আর্শেদ আলী মোল্লা এলাকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ক্লিনিকের জন্য জমি দান করেন। দাদার মৃত্যুর পরে আমার বাবা দায়ীত্বে রয়েছেন, ক্লিনিকের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আমি যখন যতটুকু পারি সহযোগিতা করছি মাত্র, যেহেতু উত্তর লোহালিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি সেহেতু যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্লিনিক সংশ্লিষ্ট প্রায় দু কিলোমিটার রাস্তাটি পাকা হলে ঐ ক্লিনিকের প্রায় ছয় হাজার লোকের ঘরে ঘরে চিকিৎসা সেবা পৌছানো সহজ হবে।
.
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে আমি চাকুরী করছি সেই সুবাদে অনেকের সাথে পরিচয় থাকার কারনে ক্লিনিকের সার্বিক সহযোগিতার চেস্টা করছি তবে প্রত্যান্ত অঞ্চলের ক্লিনিক সেবা ঘরে ঘরে পৌছানোর লক্ষ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন অতিব জরুরী।
.
তিনি আরও বলেন, আমার মরহুম দাদা আর্শেদ আলী মোল্লার দানকৃত জমিতে, এলাকাবাসীর আন্তরিকতায় এবং আমার প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকারগড়ে তোলেন এই কমিউনিটি ক্লিনিক, যে খানে বর্তমানে বিনামুল্যে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা/ঔষধ সেবা পাচ্ছেন এলাকার প্রায় ছয় হাজার সাধারণ মানুষ,,এই বৃষ্টিতে কর্দমক্ত রাস্তা দিয়ে গর্ববতী মায়েদের যাতায়ত,শিশুদের টিকা গ্রহণ এবং গুরুতর রোগীরা যাতায়াত করতে গিয়ে খুবই কষ্ট স্বীকার করছেন, তাই, এলাকার সাধারণ মানুষের জোড় দাবি ক্লিনিক কানেক্টিং সকল সড়ক পাকা করার।
Tag :