তিউনিসিয়ায় সাগর থেকে উদ্ধার ২৬৪ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
  • / ১৭১ Time View

 

লিবিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশের আশায় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নৌকা নিয়ে যাত্রা করা ২৬৪ বাংলাদেশি নাগরিককে বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। মিসরের সংবাদমাধ্যম আহরাম অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড বলেছে, নৌকাটিতে ২৬৭ জন ছিলেন। এর মধ্যে ৩ জন মিসরের নাগরিক। নৌকা ভেঙে যাওয়ার পর তারা উপকূলে আটকা পড়েন।’

কোস্টগার্ড বলেছেন, তিউনিসিয়া প্রশাসন অভিবাসন প্রত্যাশীদের লিবিয়া সীমান্তের বেন গর্দান বন্দরে পৌঁছাতে সাহায্য করেন। তারপর তাদেরকে আইওএম এবং রেড ক্রিসেন্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আইওএমের বিবৃতি থেকে জানা গেছে, তিউনিসিয়ান আইল্যান্ড জেরবার একটি হোটেলে রাখা কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তাদের। আইওএমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় গত জানুয়ারি থেকে এক হাজারের বেশি মানুষ তিউনিসিয়ায় আটকা পড়েন। এমন মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১১ হাজার অভিবাসী প্রত্যাশী মানুষ লিবিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। গত বছর এই সময়ের তুলনায় এবার এই সংখ্যা ৭০ শতাংশ বেশি!

লিবিয়ার নাজুক অবস্থার কারণে অভিবাসীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে সাগরে ভাসছেন বলে মনে করছে আইওএম। তিউনিসিয়ার শরণার্থীশিবিরগুলো কানায়-কানায় পূর্ণ বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।

Please Share This Post in Your Social Media

তিউনিসিয়ায় সাগর থেকে উদ্ধার ২৬৪ বাংলাদেশি

Update Time : ১২:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

 

লিবিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশের আশায় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নৌকা নিয়ে যাত্রা করা ২৬৪ বাংলাদেশি নাগরিককে বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। মিসরের সংবাদমাধ্যম আহরাম অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড বলেছে, নৌকাটিতে ২৬৭ জন ছিলেন। এর মধ্যে ৩ জন মিসরের নাগরিক। নৌকা ভেঙে যাওয়ার পর তারা উপকূলে আটকা পড়েন।’

কোস্টগার্ড বলেছেন, তিউনিসিয়া প্রশাসন অভিবাসন প্রত্যাশীদের লিবিয়া সীমান্তের বেন গর্দান বন্দরে পৌঁছাতে সাহায্য করেন। তারপর তাদেরকে আইওএম এবং রেড ক্রিসেন্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আইওএমের বিবৃতি থেকে জানা গেছে, তিউনিসিয়ান আইল্যান্ড জেরবার একটি হোটেলে রাখা কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তাদের। আইওএমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় গত জানুয়ারি থেকে এক হাজারের বেশি মানুষ তিউনিসিয়ায় আটকা পড়েন। এমন মানুষের সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১১ হাজার অভিবাসী প্রত্যাশী মানুষ লিবিয়া হয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। গত বছর এই সময়ের তুলনায় এবার এই সংখ্যা ৭০ শতাংশ বেশি!

লিবিয়ার নাজুক অবস্থার কারণে অভিবাসীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে সাগরে ভাসছেন বলে মনে করছে আইওএম। তিউনিসিয়ার শরণার্থীশিবিরগুলো কানায়-কানায় পূর্ণ বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।