ঢাবিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা ; অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু

  • Update Time : ০৭:১৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 13

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রায় সাড়ে ৩ মাস অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা রয়েছে । পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসিক ট্রমা কাটাতেও কাজ করবে প্রশাসন।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

এ সময় সিনেট চত্বরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা উড়ানো হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ, হৃদ্যতাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্লাস অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পরে ক্লাসে ফিরতে পারছি। সামনে আমাদের বড় মাপের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা কিছু সময় পড়াশোনার মধ্যে থাকতে পারিনি। কীভাবে সেটা দ্রুত সময়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় আমাদের সে ব্যাপারে কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক সবাই মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন। আমরা সেই ট্রমা ও সার্বিক মানসিক ও শারীরিক কল্যাণে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়কে জনগণের প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। তা নিরসনেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনাদের সহযোগিতা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত অর্থে আমরা জনগণের প্রতিষ্ঠান মনে করি। সর্বজনতার এখানে দায় ও অধিকার আছে। আমরা সবার সহযোগিতায় কার্যকরভাবে এই কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবো এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো বলে মনে করি। 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তারা সমাজের দর্পণ এবং তাদের মাধ্যমেই সমাজের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের মাধ্যমেই এ যোগাযোগ রেখে সব কার্যক্রম চালিয়ে নিতে চাই। 

নীরবতা পালন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন অংশ নেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঢাবিতে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা ; অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু

Update Time : ০৭:১৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রায় সাড়ে ৩ মাস অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ দিনের এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা রয়েছে । পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসিক ট্রমা কাটাতেও কাজ করবে প্রশাসন।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম শুরুর প্রাক্কালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

এ সময় সিনেট চত্বরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা উড়ানো হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। সৌহার্দ্যপূর্ণ, হৃদ্যতাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্লাস অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পরে ক্লাসে ফিরতে পারছি। সামনে আমাদের বড় মাপের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা কিছু সময় পড়াশোনার মধ্যে থাকতে পারিনি। কীভাবে সেটা দ্রুত সময়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় আমাদের সে ব্যাপারে কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক সবাই মানসিক ট্রমার মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন। আমরা সেই ট্রমা ও সার্বিক মানসিক ও শারীরিক কল্যাণে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়কে জনগণের প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। তা নিরসনেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনাদের সহযোগিতা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত অর্থে আমরা জনগণের প্রতিষ্ঠান মনে করি। সর্বজনতার এখানে দায় ও অধিকার আছে। আমরা সবার সহযোগিতায় কার্যকরভাবে এই কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবো এবং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো বলে মনে করি। 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তারা সমাজের দর্পণ এবং তাদের মাধ্যমেই সমাজের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, তাই তাদের মাধ্যমেই এ যোগাযোগ রেখে সব কার্যক্রম চালিয়ে নিতে চাই। 

নীরবতা পালন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন অংশ নেন।