ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

  • Update Time : ০২:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / 24

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

রোববার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অভিনন্দন জানান।

সাক্ষাৎকালে গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত।

ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে কঠোরভাবে অনুসরণ করে, বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে নির্বাচিত উন্নয়ন পথকে সম্মান করে এবং আশা করে যে বাংলাদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐক্য, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি লাভ করবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যত পরিবর্তনই আসুক না কেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে চীনের অঙ্গীকার অপরিবর্তিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং সহযোগিতামূলক অংশীদার। চীন বাংলাদেশকে তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়, জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

এ সময় রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে চীন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং যুদ্ধবিরতির জন্য মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

Update Time : ০২:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

রোববার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ হয়। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অভিনন্দন জানান।

সাক্ষাৎকালে গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত।

ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে কঠোরভাবে অনুসরণ করে, বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে নির্বাচিত উন্নয়ন পথকে সম্মান করে এবং আশা করে যে বাংলাদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐক্য, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি লাভ করবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে যত পরিবর্তনই আসুক না কেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে চীনের অঙ্গীকার অপরিবর্তিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং সহযোগিতামূলক অংশীদার। চীন বাংলাদেশকে তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়, জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

এ সময় রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে চীন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং যুদ্ধবিরতির জন্য মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করবে।