জাদুকরী পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির অনন্য রেকর্ড

  • Update Time : ০৫:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০
  • / 156

স্পোর্টস ডেস্কঃ ক্লাব ফুটবলে সবশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে গোল করেছিলেন বার্সেলোনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এরপর বার্সেলোনার হয়ে আরও তিনটি ম্যাচ খেললেও গোলের দেখা পাননি এ আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। যার ফলে তার পারফরম্যান্স নিয়ে শুরু হয়ে যায় নানান আলোচনা।

এসবে থোড়াই কেয়ার করেন মেসি! তিনি জ্বলে উঠলেন নিজের মতো করেই। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে নিজে গোল করলেন একটি, করালেন একটি এবং সাহায্য করলেন আরও একটি গোলে। মেসির স্বাভাবিক পারফরম্যান্সের দিনে ।

ম্যাচের ২৬ মিনিটের সময় অসাধারণ এক ড্রিবলিংয়ে ডানপাশ দিয়ে ফেরেন্সভারোসের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। বাঁ পায়ের জাদুতে পরাস্ত করেন তিন ডিফেন্ডারকে। যখনই এগুতে যাবেন আরও সামনে, তখনই তাকে ফাউল করে বসেন কোভাসেভিচ। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে সহজেই গোল করেন মেসি।

আর এতেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের অনন্য এক রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৬ মৌসুমে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে সবমিলিয়েই ১৬ আসরে গোল করা ফুটবলার আছেন মাত্র একজন, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি খেলোয়াড় রায়ান গিগস।

২০০৪-০৫ মৌসুমের প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের আসরে খেলতে নেমেছিলেন মেসি। সেবার এক ম্যাচ খেলে পাননি গোলের দেখা। তবে ২০০৫-০৬ মৌসুমে ছয় ম্যাচে করেন ১টি গোল। সেই যে শুরু, এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত প্রতিবার অন্তত ১টি হলেও গোল করেছেন মেসি।

চ্যাম্পিয়নস লিগের টানা ১৬ আসরে মেসির পরিসংখ্যান
২০০৫-০৬: ছয় ম্যাচে ১ গোল
২০০৬-০৭: পাঁচ ম্যাচে ১ গোল
২০০৭-০৮: নয় ম্যাচে ৬ গোল
২০০৮-০৯: বারো ম্যাচে ৯ গোল
২০০৯-১০: এগার ম্যাচে ৮ গোল
২০১০-১১: তের ম্যাচে ১২ গোল
২০১১-১২: এগার ম্যাচে ১৪ গোল
২০১২-১৩: এগার ম্যাচে ৮ গোল
২০১৩-১৪: সাত ম্যাচে ৮ গোল
২০১৪-১৫: তের ম্যাচে ১০ গোল
২০১৫-১৬: সাত ম্যাচে ৬ গোল
২০১৬-১৭: নয় ম্যাচে ১১ গোল
২০১৭-১৮ দশ ম্যাচে ৬ গোল
২০১৮-১৯: দশ ম্যাচে ১২ গোল
২০১৯-২০: আট ম্যাচে ৩ গোল
২০২০-২১: এক ম্যাচে ১ গোল (চলতি মৌসুম)

সবমিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্যারিয়ারে ১৪৪ ম্যাচ খেলে ১১৬টি গোল করেছেন মেসি। এর মধ্যে গ্রুপপর্বে তার গোলসংখ্যা ৬৯টি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে গ্রুপপর্বে এত বেশি গোল নেই অন্য কোনো ফুটবলারের। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩৬তম প্রতিপক্ষ হিসেবে ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে গোল করেছেন মেসি। এটিও একটি রেকর্ড।

মেসির ইতিহাস গড়ার দিনে রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কোম্যান এবং তরুণ তারকা আনসু ফাতিও। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে মাত্র পঞ্চম ম্যানেজার হিসেবে ছয় বা তার বেশি দলের কোচিং করালেন কোম্যান। তার আগে এ কীর্তি গড়া অন্য চার কোচ হলেন কার্লো আনচেলেত্তি (৮), ক্লাউদিও রানেইরি (৬), হোসে মরিনহো (৬) এবং রাফা বেনিতেজ (৬)।

অন্যদিকে ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে ম্যাচের ৪২ মিনিটের সময় গোল করেছেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি। এ গোলের সুবাদে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১৮ বছর হওয়ার আগেই একের বেশি গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের গত মৌসুমেও ১টি গোল করেছিলেন তিনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

জাদুকরী পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির অনন্য রেকর্ড

Update Time : ০৫:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০২০

স্পোর্টস ডেস্কঃ ক্লাব ফুটবলে সবশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে গোল করেছিলেন বার্সেলোনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এরপর বার্সেলোনার হয়ে আরও তিনটি ম্যাচ খেললেও গোলের দেখা পাননি এ আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। যার ফলে তার পারফরম্যান্স নিয়ে শুরু হয়ে যায় নানান আলোচনা।

এসবে থোড়াই কেয়ার করেন মেসি! তিনি জ্বলে উঠলেন নিজের মতো করেই। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মঞ্চে নিজে গোল করলেন একটি, করালেন একটি এবং সাহায্য করলেন আরও একটি গোলে। মেসির স্বাভাবিক পারফরম্যান্সের দিনে ।

ম্যাচের ২৬ মিনিটের সময় অসাধারণ এক ড্রিবলিংয়ে ডানপাশ দিয়ে ফেরেন্সভারোসের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। বাঁ পায়ের জাদুতে পরাস্ত করেন তিন ডিফেন্ডারকে। যখনই এগুতে যাবেন আরও সামনে, তখনই তাকে ফাউল করে বসেন কোভাসেভিচ। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে সহজেই গোল করেন মেসি।

আর এতেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের অনন্য এক রেকর্ডের মালিক বনে গেছেন লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৬ মৌসুমে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে সবমিলিয়েই ১৬ আসরে গোল করা ফুটবলার আছেন মাত্র একজন, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি খেলোয়াড় রায়ান গিগস।

২০০৪-০৫ মৌসুমের প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের আসরে খেলতে নেমেছিলেন মেসি। সেবার এক ম্যাচ খেলে পাননি গোলের দেখা। তবে ২০০৫-০৬ মৌসুমে ছয় ম্যাচে করেন ১টি গোল। সেই যে শুরু, এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত প্রতিবার অন্তত ১টি হলেও গোল করেছেন মেসি।

চ্যাম্পিয়নস লিগের টানা ১৬ আসরে মেসির পরিসংখ্যান
২০০৫-০৬: ছয় ম্যাচে ১ গোল
২০০৬-০৭: পাঁচ ম্যাচে ১ গোল
২০০৭-০৮: নয় ম্যাচে ৬ গোল
২০০৮-০৯: বারো ম্যাচে ৯ গোল
২০০৯-১০: এগার ম্যাচে ৮ গোল
২০১০-১১: তের ম্যাচে ১২ গোল
২০১১-১২: এগার ম্যাচে ১৪ গোল
২০১২-১৩: এগার ম্যাচে ৮ গোল
২০১৩-১৪: সাত ম্যাচে ৮ গোল
২০১৪-১৫: তের ম্যাচে ১০ গোল
২০১৫-১৬: সাত ম্যাচে ৬ গোল
২০১৬-১৭: নয় ম্যাচে ১১ গোল
২০১৭-১৮ দশ ম্যাচে ৬ গোল
২০১৮-১৯: দশ ম্যাচে ১২ গোল
২০১৯-২০: আট ম্যাচে ৩ গোল
২০২০-২১: এক ম্যাচে ১ গোল (চলতি মৌসুম)

সবমিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্যারিয়ারে ১৪৪ ম্যাচ খেলে ১১৬টি গোল করেছেন মেসি। এর মধ্যে গ্রুপপর্বে তার গোলসংখ্যা ৬৯টি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে গ্রুপপর্বে এত বেশি গোল নেই অন্য কোনো ফুটবলারের। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগে ৩৬তম প্রতিপক্ষ হিসেবে ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে গোল করেছেন মেসি। এটিও একটি রেকর্ড।

মেসির ইতিহাস গড়ার দিনে রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কোম্যান এবং তরুণ তারকা আনসু ফাতিও। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে মাত্র পঞ্চম ম্যানেজার হিসেবে ছয় বা তার বেশি দলের কোচিং করালেন কোম্যান। তার আগে এ কীর্তি গড়া অন্য চার কোচ হলেন কার্লো আনচেলেত্তি (৮), ক্লাউদিও রানেইরি (৬), হোসে মরিনহো (৬) এবং রাফা বেনিতেজ (৬)।

অন্যদিকে ফেরেন্সভারোসের বিপক্ষে ম্যাচের ৪২ মিনিটের সময় গোল করেছেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আনসু ফাতি। এ গোলের সুবাদে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১৮ বছর হওয়ার আগেই একের বেশি গোল করার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের গত মৌসুমেও ১টি গোল করেছিলেন তিনি।