জাতীয় শোক দিবসে সুজিত রায় নন্দীর বাণী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১১:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • / ২৮৯ Time View

 

আজ রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট। সেই কলঙ্কিত কালো দিন। রক্তের অক্ষরে লেখা ধন্য সেই মহামানবের বিয়োগ ব্যথায় বিহ্বল হওয়ার শোকাবহ দিন।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট গভীর রাতে সেই কালো মেঘ নিষ্ঠুরভাবে গ্রাস করেছিল রাজধানী ঢাকাকে। আর সেই কালো রাতে রচিত হয় ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম নিষ্ঠুর জঘন্যতম ঘৃণ্য কলঙ্কিত এক হত্যাযজ্ঞের। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতক পৈশাচিকভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। সেই দানবদের নিষ্ঠুর রক্তের হোলি খেলার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবার-পরিজনও। হায়েনারা সেদিন রচনা করেন ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়।

ঘাতকচক্র সেদিন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে যেই কলঙ্কের কালিমা লেপন করেছিল সে পথ ধরে জাতির জনকের নামটি মোছার অনেক অপচেষ্টা হয়। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয়, মিথ্যার ধূম্রজাল সৃষ্টি হয় মহান স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে। কিন্তু মিথ্যা দিয়ে কি ঢাকা যায় ইতিহাসের অমোঘ সত্যকে? তামাম বিশ্ব জানে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। জাতির জনকই স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা।

ঘাতকরা শুধু জাতির পিতাকেই হত্যা করেনি, তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসেরসহ আরও অনেককে হত্যা করে। আজকের এই বেদনা বিধূর দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুসহ সেদিন যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সুজিত রায় নন্দী
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতীয় শোক দিবসে সুজিত রায় নন্দীর বাণী

Update Time : ১১:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

 

আজ রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট। সেই কলঙ্কিত কালো দিন। রক্তের অক্ষরে লেখা ধন্য সেই মহামানবের বিয়োগ ব্যথায় বিহ্বল হওয়ার শোকাবহ দিন।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট গভীর রাতে সেই কালো মেঘ নিষ্ঠুরভাবে গ্রাস করেছিল রাজধানী ঢাকাকে। আর সেই কালো রাতে রচিত হয় ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম নিষ্ঠুর জঘন্যতম ঘৃণ্য কলঙ্কিত এক হত্যাযজ্ঞের। একাত্তরের পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতক পৈশাচিকভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে। সেই দানবদের নিষ্ঠুর রক্তের হোলি খেলার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবার-পরিজনও। হায়েনারা সেদিন রচনা করেন ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়।

ঘাতকচক্র সেদিন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে যেই কলঙ্কের কালিমা লেপন করেছিল সে পথ ধরে জাতির জনকের নামটি মোছার অনেক অপচেষ্টা হয়। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয়, মিথ্যার ধূম্রজাল সৃষ্টি হয় মহান স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে। কিন্তু মিথ্যা দিয়ে কি ঢাকা যায় ইতিহাসের অমোঘ সত্যকে? তামাম বিশ্ব জানে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। জাতির জনকই স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা।

ঘাতকরা শুধু জাতির পিতাকেই হত্যা করেনি, তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসেরসহ আরও অনেককে হত্যা করে। আজকের এই বেদনা বিধূর দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুসহ সেদিন যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সুজিত রায় নন্দী
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।