চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দির ভাঙ্গার ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের পরিবারের মানববন্ধন

  • Update Time : ০৯:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২
  • / 155

শাওন পাটওয়ারীঃ

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় আটকদের পরিবার মানববন্ধন করেছে।
২মার্চ বুধবার সকালে আটকদের কয়েক শতাধিক পরিবারের সদস্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন।

এসময় আটক ব্যক্তিদের সন্তানের কান্না এবং তাদের মায়েদের আর্তনাদে সেখানকার আকাশ ভারি হয়ে ওঠে।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া কয়েকজন বলেন, মন্দির-পূজা মন্ডপে যারা হামলা করেছে তাদের শাস্তির দাবি করি। কিন্তু যারা নিরাপরাধ তাদেরকে কেন আটক রাখা হয়েছে। পুলিশ শুধুমাত্র সিসিটিভির ফুটেজের ছবি দেখাতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযুক্তদের চিনিয়ে দেওয়ার কথা বলে থানায় নিয়ে যায়। অথচ ৫ মাস হয়ে গেল তাদের ছাড়া হয়নি। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে ৪/৫টি করে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

ফাতেমা-তুজ-জোহরা নামে এক নারী বলেন, আমার স্বামী তানজিল হোসাইন বাজারে তরকারি বিক্রি করতো। পুলিশ বলেছিলো সিসিটিভিতে যাদের দেখা হয়েছে তাদের চিনিয়ে দেয়ার জন্যে থানা যেতে। এরপর ৫ মাস হলেও তাকে ছাড়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, একটি পরিবারের কর্মজীবী মানুষটি যদি পাঁচ মাস জেলে থাকে তাহলে সেই পরিবারের মানুষগুলো কি খেয়ে বাঁচে। আমরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। দয়া করে আমাদের নিরীহ স্বামী-ভাইদের ছেড়ে দেওয়া হোক।

পারভিন বেগম বলেন, আমার ২ ছেলে ইব্রাহিম ও গোলাম রাব্বী এবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। তারা জেলে থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। আমি আমার নির্দোশ ছেলেদের মুক্তি চাই।

এদিকে আটক পরিবারের সদস্যদের কান্নায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত সাংবাদিক,প্রশাসনের লোক ও পথচারীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দির ভাঙ্গার ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের পরিবারের মানববন্ধন

Update Time : ০৯:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ মার্চ ২০২২

শাওন পাটওয়ারীঃ

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় আটকদের পরিবার মানববন্ধন করেছে।
২মার্চ বুধবার সকালে আটকদের কয়েক শতাধিক পরিবারের সদস্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন।

এসময় আটক ব্যক্তিদের সন্তানের কান্না এবং তাদের মায়েদের আর্তনাদে সেখানকার আকাশ ভারি হয়ে ওঠে।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া কয়েকজন বলেন, মন্দির-পূজা মন্ডপে যারা হামলা করেছে তাদের শাস্তির দাবি করি। কিন্তু যারা নিরাপরাধ তাদেরকে কেন আটক রাখা হয়েছে। পুলিশ শুধুমাত্র সিসিটিভির ফুটেজের ছবি দেখাতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং অভিযুক্তদের চিনিয়ে দেওয়ার কথা বলে থানায় নিয়ে যায়। অথচ ৫ মাস হয়ে গেল তাদের ছাড়া হয়নি। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে ৪/৫টি করে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

ফাতেমা-তুজ-জোহরা নামে এক নারী বলেন, আমার স্বামী তানজিল হোসাইন বাজারে তরকারি বিক্রি করতো। পুলিশ বলেছিলো সিসিটিভিতে যাদের দেখা হয়েছে তাদের চিনিয়ে দেয়ার জন্যে থানা যেতে। এরপর ৫ মাস হলেও তাকে ছাড়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, একটি পরিবারের কর্মজীবী মানুষটি যদি পাঁচ মাস জেলে থাকে তাহলে সেই পরিবারের মানুষগুলো কি খেয়ে বাঁচে। আমরা খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছি। দয়া করে আমাদের নিরীহ স্বামী-ভাইদের ছেড়ে দেওয়া হোক।

পারভিন বেগম বলেন, আমার ২ ছেলে ইব্রাহিম ও গোলাম রাব্বী এবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। তারা জেলে থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। আমি আমার নির্দোশ ছেলেদের মুক্তি চাই।

এদিকে আটক পরিবারের সদস্যদের কান্নায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত সাংবাদিক,প্রশাসনের লোক ও পথচারীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরে।