ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বেড়িবাঁধ ও ধানের ব‍্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা

  • Update Time : ১২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 158

তুরান রানা, বটিয়াঘাটাঃ

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর ফলে বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলের ভেড়িবাঁধ গুলো অবস্থা আশংকাজনক।

একদিকে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি, অন‍্যদিকে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আসায় চরম ঝুঁকিপূর্ণ মধ্যে রয়েছে ভেড়ীবাঁধ। অন‍্যদিকে দুইদিনের বৃষ্টির কারনে এলাকার অধিকাংশ আমন ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ইরি ও রোরোধান কাটা।

কৃষকেরা ধান কেটে রেখেছে বিলে। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ কাটাধান। অধিকাংশ কৃষকরা বলছেন,এভাবে বৃষ্টি হলে তাদের ধান জমিতেই নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া যেসব ধান এখনও পাকেনাই তার অবস্থা খুবই খারাপ হবে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়,গতবারের তুলোনায় এবার ধানের মৌসুম খুবই ভালো। এবার ধানে পোকামাকড় সহ অন্যান্য রোগ খুবই কম। গতবার কারেন্ট পোকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো এই অঞ্চলের কৃষকদের।

উপজেলার বারোআড়িয়া এলাকার কৃষক সমির মিস্ত্রী বলেন,বৃষ্টির কারণে এসকল এলাকার অধিকাংশ কাছা পাকা ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতে বেশিদিন পানি থাকলে কাটা ধান একাবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন,অধিকাংশ কৃষক বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছেন। ফলে সঠিক সময়ের মধ্যে ধান মাড়াই করে ঘরে তুলতে না পারলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা।

বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন,গতবার আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে ৪৩ হাজার ৮৩৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছরে ১৭ হাজার ৬ শ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আশা ৪৪ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে। এবার ধানের ফসল গতবারের তুলনায় অনেক ভালো। যে কারনে এবার উপজেলা ৭টি ইউনিয়নে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে গতবারের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন,টানা বৃষ্টির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে আধাপাকা ধান ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ইরি ধান কাটা শুরু হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বেড়িবাঁধ ও ধানের ব‍্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা

Update Time : ১২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১

তুরান রানা, বটিয়াঘাটাঃ

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর ফলে বটিয়াঘাটা উপজেলার বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলের ভেড়িবাঁধ গুলো অবস্থা আশংকাজনক।

একদিকে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি, অন‍্যদিকে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আসায় চরম ঝুঁকিপূর্ণ মধ্যে রয়েছে ভেড়ীবাঁধ। অন‍্যদিকে দুইদিনের বৃষ্টির কারনে এলাকার অধিকাংশ আমন ধানক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ইরি ও রোরোধান কাটা।

কৃষকেরা ধান কেটে রেখেছে বিলে। বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ কাটাধান। অধিকাংশ কৃষকরা বলছেন,এভাবে বৃষ্টি হলে তাদের ধান জমিতেই নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া যেসব ধান এখনও পাকেনাই তার অবস্থা খুবই খারাপ হবে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়,গতবারের তুলোনায় এবার ধানের মৌসুম খুবই ভালো। এবার ধানে পোকামাকড় সহ অন্যান্য রোগ খুবই কম। গতবার কারেন্ট পোকায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো এই অঞ্চলের কৃষকদের।

উপজেলার বারোআড়িয়া এলাকার কৃষক সমির মিস্ত্রী বলেন,বৃষ্টির কারণে এসকল এলাকার অধিকাংশ কাছা পাকা ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। জমিতে বেশিদিন পানি থাকলে কাটা ধান একাবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন,অধিকাংশ কৃষক বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছেন। ফলে সঠিক সময়ের মধ্যে ধান মাড়াই করে ঘরে তুলতে না পারলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারা।

বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন,গতবার আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার ৬শত হেক্টর জমিতে ৪৩ হাজার ৮৩৪ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছরে ১৭ হাজার ৬ শ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আশা ৪৪ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হবে। এবার ধানের ফসল গতবারের তুলনায় অনেক ভালো। যে কারনে এবার উপজেলা ৭টি ইউনিয়নে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে গতবারের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন,টানা বৃষ্টির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে আধাপাকা ধান ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ইরি ধান কাটা শুরু হয়েছে।