গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

  • Update Time : ১২:১৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / 9

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জেলা শহরের টি এ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, আখাউড়ায় গিয়াস উদ্দিন তাহেরী ও নাঈম নামের এক পীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম।

হামলার বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী বলেন, ‘ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে সোমবার বিকাল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান নিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় রবিবার রাতেই আমরা কর্মসূচি স্থগিত করি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিষয়টি নতুন জেলা প্রশাসককে জানাতে চেয়েছিলাম। বেলা আড়াইটার দিকে ফকিরাপুল (ঘোড়াপট্টি সেতু) থেকে কাউতলী যাওয়ার পথে টি এ রোডের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা বরাবর পৌঁছালে মাদ্রাসাছাত্ররা গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করে। তারা আমাকে গাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করেছিল। কোনও রকম প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।’

গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, ‘বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশকে বলেছি, রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, ফুটেজ দেখতে। প্রকাশ্যে দিবালোকে কারা হামলা করেছে বিষয়টি স্পষ্ট। আমি দ্রুতই অভিযোগ করবো। মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সারা দেশ প্রতিবাদ করে আসছে। প্রতিবাদ করা সবার দায়িত্ব। যারা আক্রমণ করেছে, তারাও অংশ নিতে পারতো। কিন্তু পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। রবিবার থেকে তারা হামলা করবে বলে ফেসবুকে ছড়িয়েছে। সে অনুযায়ী হামলা চালিয়েছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘গাড়িতে ঢিল নিক্ষেপ করে গাড়ির সামনের ও এক পাশের কাচ ভেঙে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। কিন্তু কে বা করা করেছে, সেটা তিনি স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তাকে বলেছি অভিযোগ দিতে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।’

এদিকে, সকালে মহানবীকে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে আখাউড়ার সড়ক বাজারের পৌর মুক্তমঞ্চে হেফাজত ইসলামের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মসূচি থেকে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী ও নাঈম নামে একজন পীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ ছয়টি দাবি উত্থাপন করা হয়। এই কর্মসূচি উপলক্ষে সকালে আখাউড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল এসে সড়ক বাজারের পৌর মুক্তমঞ্চে জড়ো হয়। সেখানে হওয়া প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কটূক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। এতে বক্তব্য দেন মাওলানা আসাদ আল হাবীব, মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান, আলহাজ মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা আব্দুল বাছির আল মাহদী প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

Update Time : ১২:১৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জেলা শহরের টি এ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, আখাউড়ায় গিয়াস উদ্দিন তাহেরী ও নাঈম নামের এক পীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম।

হামলার বিষয়ে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী বলেন, ‘ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ হচ্ছে। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে সোমবার বিকাল ৫টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠান নিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় রবিবার রাতেই আমরা কর্মসূচি স্থগিত করি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিষয়টি নতুন জেলা প্রশাসককে জানাতে চেয়েছিলাম। বেলা আড়াইটার দিকে ফকিরাপুল (ঘোড়াপট্টি সেতু) থেকে কাউতলী যাওয়ার পথে টি এ রোডের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা বরাবর পৌঁছালে মাদ্রাসাছাত্ররা গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করে। তারা আমাকে গাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করেছিল। কোনও রকম প্রাণ বাঁচিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।’

গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, ‘বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশকে বলেছি, রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, ফুটেজ দেখতে। প্রকাশ্যে দিবালোকে কারা হামলা করেছে বিষয়টি স্পষ্ট। আমি দ্রুতই অভিযোগ করবো। মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে সারা দেশ প্রতিবাদ করে আসছে। প্রতিবাদ করা সবার দায়িত্ব। যারা আক্রমণ করেছে, তারাও অংশ নিতে পারতো। কিন্তু পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। রবিবার থেকে তারা হামলা করবে বলে ফেসবুকে ছড়িয়েছে। সে অনুযায়ী হামলা চালিয়েছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘গাড়িতে ঢিল নিক্ষেপ করে গাড়ির সামনের ও এক পাশের কাচ ভেঙে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। কিন্তু কে বা করা করেছে, সেটা তিনি স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। তাকে বলেছি অভিযোগ দিতে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবো।’

এদিকে, সকালে মহানবীকে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তি এবং সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে আখাউড়ার সড়ক বাজারের পৌর মুক্তমঞ্চে হেফাজত ইসলামের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মসূচি থেকে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী ও নাঈম নামে একজন পীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ ছয়টি দাবি উত্থাপন করা হয়। এই কর্মসূচি উপলক্ষে সকালে আখাউড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল এসে সড়ক বাজারের পৌর মুক্তমঞ্চে জড়ো হয়। সেখানে হওয়া প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কটূক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। এতে বক্তব্য দেন মাওলানা আসাদ আল হাবীব, মাওলানা মো. আসাদুজ্জামান, আলহাজ মুসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, মাওলানা আব্দুল বাছির আল মাহদী প্রমুখ।