গাইবান্ধাই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের আসামী যশোরে গ্রেফতার

  • Update Time : ১২:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 13

মো. সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী নিহতের আপন ভাই আনোয়ারুল ইসলাম(২৮)কে যশোর হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬, যশোর।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৬ সিপিসি-৩, বকচর, যশোর কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ফ্লা.লে.মো.রাসেল এক “প্রেস রিলিজ” এ জানিয়েছেন- ” র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে”।

“নিহত সামছুল হুদা (৩৫) এবং মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (২৮) আপন দুই ভাই। তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বে থেকে শত্রুতা ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ০৫/০৬/২০২৪ তারিখ বিকালে তাদের নিজ এলাকায় (গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন তালুক কানুপুর গ্রামে) ভিকটিম সামছুল হুদা (৩৫)’কে তার ভাই মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (২৮) হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো কোদাল দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের অন্য লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার তিনদিন পর সামসুল হুদা মারা যায়। এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী মোছা. লাবনী খাতুন (৩০) বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই আসামী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (২৮) নিজেকে আত্মগোপন করে। র‌্যাব-১৩ এর একটি আভিযানিক দল পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে”।

পলাতক আসামী আনোয়ারুল যশোর জেলায় অবস্থান করছে র‌্যাব-১৩ এর মাধ্যমে র‌্যাব-৬, যশোর কোম্পানী অবগত হলে, র‌্যাব-৬, যশোরের একটি আভিযানিক দল উক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে।

“এরই ধারাবিহকতায় ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর এর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৮), পিতা- মো. হাবিজার রহমান, সাং- তালুক কানুপুর, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা, যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ঝুমঝুমপুর বাবলাতলা এলাকায় আত্মগোপনে আছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৮)কে গ্রেফতার করে”।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, “তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে শত্রুতা চলে আসছিল। বিভিন্ন সময় এলাকায় শালিশী বৈঠকে তাদের ঝামেলা মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও সমাধান হয়নি। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে ঝামেলা হলে আসামী রাগান্বিত হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো কোদাল দিয়ে তার ভাইয়ের মাথায় কোপ দেয়। ঘটনার পরপরই আসামী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে প্রথমে জয়পুরহাট পরে যশোর চলে আসে। এ সময় যশোরে একটি বিস্কুটের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো বলে সে জানায়”। 

আসামী আনোয়ারুল এর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাকে তার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে “প্রেস রিলিজ” এ জানানো হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

গাইবান্ধাই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের আসামী যশোরে গ্রেফতার

Update Time : ১২:৪৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মো. সাহিদুল ইসলাম শাহীনঃ-গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী নিহতের আপন ভাই আনোয়ারুল ইসলাম(২৮)কে যশোর হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৬, যশোর।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৬ সিপিসি-৩, বকচর, যশোর কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ফ্লা.লে.মো.রাসেল এক “প্রেস রিলিজ” এ জানিয়েছেন- ” র‌্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে”।

“নিহত সামছুল হুদা (৩৫) এবং মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (২৮) আপন দুই ভাই। তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বে থেকে শত্রুতা ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ০৫/০৬/২০২৪ তারিখ বিকালে তাদের নিজ এলাকায় (গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন তালুক কানুপুর গ্রামে) ভিকটিম সামছুল হুদা (৩৫)’কে তার ভাই মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (২৮) হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো কোদাল দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের অন্য লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার তিনদিন পর সামসুল হুদা মারা যায়। এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী মোছা. লাবনী খাতুন (৩০) বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই আসামী মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (২৮) নিজেকে আত্মগোপন করে। র‌্যাব-১৩ এর একটি আভিযানিক দল পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে”।

পলাতক আসামী আনোয়ারুল যশোর জেলায় অবস্থান করছে র‌্যাব-১৩ এর মাধ্যমে র‌্যাব-৬, যশোর কোম্পানী অবগত হলে, র‌্যাব-৬, যশোরের একটি আভিযানিক দল উক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে অভিযানে নামে।

“এরই ধারাবিহকতায় ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর এর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৮), পিতা- মো. হাবিজার রহমান, সাং- তালুক কানুপুর, থানা-গোবিন্দগঞ্জ, জেলা-গাইবান্ধা, যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ঝুমঝুমপুর বাবলাতলা এলাকায় আত্মগোপনে আছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি একই তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (২৮)কে গ্রেফতার করে”।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, “তাদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে শত্রুতা চলে আসছিল। বিভিন্ন সময় এলাকায় শালিশী বৈঠকে তাদের ঝামেলা মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও সমাধান হয়নি। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে ঝামেলা হলে আসামী রাগান্বিত হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো কোদাল দিয়ে তার ভাইয়ের মাথায় কোপ দেয়। ঘটনার পরপরই আসামী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে প্রথমে জয়পুরহাট পরে যশোর চলে আসে। এ সময় যশোরে একটি বিস্কুটের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো বলে সে জানায়”। 

আসামী আনোয়ারুল এর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাকে তার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে “প্রেস রিলিজ” এ জানানো হয়েছে।