কেন ভাইয়ে-ভাইয়ে একসাথে থাকবেন?
- Update Time : ১২:২০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
- / ২০৫ Time View
খুলনা শহরে একটা পুরির দোকান ছিল, এখনো আছে। বাবার পর দুই ভাই দীর্ঘদিন দোকানটা চালিয়েছে। দোকানে পুরি কেনার জন্য সব সময় ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন থাকত। অন্তত আমি ২০/২৫ বছর ধরে সেটাই দেখছি। কোনো ক্রেতাকে পুরি কিনতে হলে অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে, এটাই যেন অলিখিত নিয়ম। ৫/৬ জন কারিগর একমাত্র পুরি বিক্রি করতেই হিমশিম খেয়ে যেত।
গতকাল যখন পুরানো সেই পুরির দোকানে গেলাম, যাওয়ার সাথে সাথেই পুরি পেয়ে গেলাম। এত তাড়াতাড়ি ঐ দোকান থেকে পুরি পাওয়া যেতে পারে, এটা আমার আমার অভিজ্ঞতায় ছিল না।
যখন পুরি খাচ্ছিলাম, তখন জানতে পারলাম যে অন্য ভাই এখান থেকে আলাদা হয়ে গেছে। সে পাশেই আরেকটা পুরির দোকান দিয়েছে।
মাসখানেক হলো দুই ভাই আলাদা হয়ে গেছে। আগের দোকানটা এক ভাই চালাচ্ছে আর অন্যজন ১০০ মিটার দূরে গিয়ে আরেকটা পুরির দোকান দিয়েছে।
যাই হোক, পুরি খাওয়ার পরে ভাবলাম সেই দোকানটা একটু দেখে যাই। যখন গেলাম, সেখানেও একই অবস্থা। তেমন ভীড় নেই। আগের এক দোকানে যে ভিড় দেখতাম, এখন দুই দোকান মিলেও তার অর্ধেক ভীড় হবে না।
এই ঘটনা থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে, যদি আমরা শিখতে পারি কিংবা শিখতে চাই। যত কষ্টই হোক, ভাই ভাই একসাথে থাকুন। এটা এক অন্য ধরনের শক্তি, যেটা থাকতে বুঝতে পারবেন না।
লেখকঃ রিয়াজুল হক, যুগ্ম পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।