কুমিল্লায় আরিফুলের ৪ পোল্ট্রি খামারে ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
- Update Time : ০৬:২৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 8
কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
সাম্প্রতিক বন্যায় পানিতে ডুবে কুমিল্লা জেলায় অন্তত ৩ হাজার ৫৭৯ পোল্ট্রি খামারি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মারা গেছে খামারের সব মুরগি। এতে করে প্রাণীসম্পদ খাতে ৩০৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার। পুরো জেলার ন্যায় আরিফুল নামের এক খামারির ৪ পোল্ট্রি ফার্মে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। এতে তিনি দিশেহারা হয়ে ভেঙে পড়েছে।
জানা যায়, যেই খামারি দেশের দুর্যোগ সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায় আজ সেই খামারীরা বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নে ফিরাতলী গ্রামে ও সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড় কানন ইউনিয়নে রাজেশপুর গ্রামে আবিদাহ পল্ট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী আরিফুল ইসলামের চারটি খামারে চল্লিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হওয়াই তিনি আজ অসহায়। তিনি ব্যাংক লোনে জর্জরিত। বিভিন্ন কোম্পানি খাবারের ও ঐষধের টাকা পাওনা আছে।
আরও জানা যায়, করোনা মহামারের সময় বিনামূল্যে ডিম বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব কাজি ওয়াসিম উদ্দিন এবং জেলা পানি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার চন্দন কুমার পোদ্দার সহ সমাজের গন্য ব্যক্তিগণ। স্বল্প মূল্য ছয় টাকা দরে ডিম বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল ফজর মীর। এখন এ ফার্মে ডিমের উৎপাদন খরচপরে প্রতি পিচ ৭ টাকা। এ আবেদা পোল্ট্রি খামারকে বিভিন্ন সময়ে সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
আবেদাহ পোল্ট্রি ফার্মের মালিক আরিফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ আঠারো বছর যাবত এই অঞ্চলে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে ব্যবসাটির সাথে সামাজিক কার্যক্রমও করে আসছি। এবারের বন্যায় আমার খামারে পাঁচ হাজার লেয়ার, বুলেট মুরগি যার ওজন ১২০০ গ্রাম এবং ৫০০০ সোনালি মুরগি যার ওজন অষ্টশ গ্রাম করে। নেয়ার প্লেট মুরগির বাজার মূল্য লক্ষ টাকা এবং সোনালী মুরগি বাজার মূল্য ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে করোনার সময় যখন দেশের মানুষ বেকার গ্রস্ত হয়ে পড়েছে, তখন আমার আবেদাহ পোল্ট্রি ফার্মের ডিম বিনামূল্যে ও সুলভ মূল্যে মানুষকে দিয়েছি। আমার ফার্মের নামে ব্যাংক লোন এবং কোম্পানি খাবারের টাকাও পাওনা আছে। বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
কুমিল্লা জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, কুমিল্লায় বন্যায় প্রাণসিম্পদে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। আমরা ৩০৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সহযোগিতার জন্য আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।