কর্ণফুলীর শিল্প প্রতিষ্ঠান সংস্কারের দাবীতে উপজেলা প্রশাসকের কাছে শিক্ষার্থীদের ৮ দফা
- Update Time : ১০:১৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 31
আগামীর বৈষম্যহীন কর্ণফুলী উপজেলা গঠন করতে কর্ণফুলীতে অবস্থিত শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোতে উপজেলা প্রশাসক ইউএনও এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ৮ দফা!
আবেদন সূত্রে বলা হয়, আমরা কর্ণফুলীর সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ আপনার সম্মুখে জানাতে চাই যে, অত্র এলাকায় অবস্থিত শিল্প কারখানাসমূহকে কেন্দ্র করে আমরা সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ সম্মিলিতভাবে ন্যায্যতার অধিকারের ভিত্তিতে আপনার মাধ্যমে নিম্মোক্ত দাবীগুলো উত্তাপন করতেছি।
৮ দফা দাবী গুলো হলো
১) কর্ণফুলী আনোয়ারা ছাত্রদের সকল শ্রেণির চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে (৮০%) অগ্রাধিকার প্রদান।
২) উদ্যোক্তা তৈরির উদ্দেশ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক টেন্ডার ভিত্তিক সাপ্লাই সেক্টরে স্বচছ প্রক্রিয়ায় কর্ণফুলী আনোয়ারার শিক্ষার্থীদেরকে অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৩) ১-৫ তারিখের মধ্যে সকল শ্রমিক ও কর্মচারীদেরকে বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
৪) বিজিএমইএ কর্তৃক নির্ধারিত কর্মচারীদের নিরাপত্তাসহ আনষাঙ্গিক সুযোগ সুবিধাসমূহ যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
৫) কর্ণফুলীতে অবস্থিত সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে ০৮ ঘন্টা পরের ঘন্টাগুলোকে (OT) হিসেবে গণ্য করতে হবে।
৬) শিক্ষার্থী কর্মচারীদের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রুটিন অনুযায়ী ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।৭) শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবেশ বান্ধব হতে হবে। ৮) বিজিএমইএ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন ও মজুরি কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক জোবাইরুল আলম মানিক বলেন, নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের উপজেলা কর্ণফুলীর চিত্র। শাহ আমানত সেতু পেরিয়ে শহরের চাকচিক্য ও শিল্পায়নের ছোঁয়া লেগেছে এক সময়ের গ্রামীণ এই জনপদে। কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
মূলত ১৯৮৯ সালে কর্ণফুলী নদীর উপর শাহ আমানত সেতু চালু হওয়ার পর কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের এ জনপদের দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে। উন্নত হয় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেতু নির্মাণের পর কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা। কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা থেকে জুলধা ডাঙাচর- কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠে একের পর এক শিল্প কারখানা।
তবে এমন সম্ভাবনাময় এলাকার অপর পিঠে রয়েছে দুর্ভোগের চিত্রও। এক সময় বিকাল হলে যেসব মাঠে কিশোর-যুবকরা দাপিয়ে বেড়াত, সে মাঠগুলো চলে গেছে এখন দখলদারদের কবলে। প্রায় সময় দুর্ঘটনার ফলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও কর্ণফুলীর ১৫টি ঘাট সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ জনপদের বাসিন্দাদের কাছে নদীর কলকল ধ্বনি শোনা দুরূহ হয়ে পড়েছে। শিল্পায়নের ছোঁয়ায় ঢাকা পড়েছে কর্ণফুলী নদীর তীর। গড়ে উঠছে শিল্প-কারখানা, নানা অবকাঠামো ও স্থাপনা। তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অন্তত শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। দালান-কোটা ও শিল্পায়নের ছোঁয়ার চাপ পড়েছে আবাদি জমিতেই। শিল্পায়নের প্রভাবে দিনদিন কমছে আবাদি জমির পরিমাণ।
তবে বেশির ভাগ শিল্প কারখানা মালিকরা নিয়ম মেনে চলেন না,পরিবেশের ক্ষতি করছে ওনারা তাই এইগুলা সংস্করণ করতে হবে।
উল্লেখিত দাবীসমূহ আপনার মাধ্যমে শিল্প কারখানার কতৃপক্ষকে অবহিত করে বাস্তবায়নের জোর দাবী জানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক জোবাইরুল আলম মানিকসহ কর্ণফুলী উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।