কক্সবাজারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী: ৫ লাখ মানুষ জমায়েতের প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৫৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

টানা সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময় পর আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সফর উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

ওইদিন কক্সবাজারের ইনানীতে আন্তর্জাতিক নৌ-মহড়ার উদ্বোধন শেষে শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে। ইতিমধ্যে জনসভাস্থলের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দিন-রাত্রি টানা চলছে সার্বিক প্রস্তুতির নানা কাজ। তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে নতুন রূপে সেজেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশের অন্য এলাকার চেয়ে কক্সবাজারে বেশি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, রেললাইন প্রকল্প, আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, মেরিন ড্রাইভ প্রশ্বস্তকরণ, সাবমেরিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ প্রকল্প, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, সাবরাং এক্সক্লেুাসিভ ট্যুরিজম জোন, মহেশখালী এলএমজি টার্মিনালসহ অসংখ্য মেঘা প্রকল্প।

তিনি আরও জানান, কেবল সভাস্থল শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম নয়; পুরো কক্সবাজার শহর জুড়ে হবে জনারণ্য। এবারের জনসভায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জমায়েত হতে পারে। স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে আড়াই লাখের বেশি মানুষ জমায়েত হতে পারবে। এর বাইরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা চত্তর, হলিডের মোড়, শহীদ সরণী এলাকা, কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন হয়ে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত মানুষের জমায়েত হবে।

 

পুরো এলাকা জুড়ে দুই শতাধিক মাইক স্থাপন ও সভাস্থলের সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রীর মূল মঞ্চটি হবে নৌকা আকৃতির। এর সঙ্গে থাকবে ৪টি উপমঞ্চ। যেখানে কেন্দ্রিয় নেতা, জেলা নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে অবস্থান নেবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম চৌধুরী জানান, শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০টা থেকে মানুষের সমাগম শুরু হবে। জেলার বিভিন্ন দূরের উপজেলা থেকে অনেকেই আগের দিন ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরে অবস্থান নেবেন। সভায় যাতে ৫ লাখ মানুষের সমাগমের অসুবিধা না হয় এজন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পৌর এলাকা জুড়ে সাজ-সাজ পরিস্থিতি চলছে। ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার পৌরসভা থেকে লাখের অধিক মানুষ যোগ দেবে। একই সঙ্গে রামু, ঈদগাঁও থেকে আসবে আরও দেড় লাখ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে মানুষের নগরী হয়ে উঠবে কক্সবাজার।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রকার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ কক্সবাজার এসেছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময়ের পর ৭ ডিসেম্বর আবার আসবেন তাই উৎসাহ-উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে কক্সবাজারবাসীর মধ্যে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী: ৫ লাখ মানুষ জমায়েতের প্রস্তুতি

Update Time : ০২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

টানা সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময় পর আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সফর উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

ওইদিন কক্সবাজারের ইনানীতে আন্তর্জাতিক নৌ-মহড়ার উদ্বোধন শেষে শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফরটি অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করছে। ইতিমধ্যে জনসভাস্থলের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দিন-রাত্রি টানা চলছে সার্বিক প্রস্তুতির নানা কাজ। তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে নতুন রূপে সেজেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশের অন্য এলাকার চেয়ে কক্সবাজারে বেশি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, রেললাইন প্রকল্প, আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, মেরিন ড্রাইভ প্রশ্বস্তকরণ, সাবমেরিনের মাধ্যমে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ প্রকল্প, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, সাবরাং এক্সক্লেুাসিভ ট্যুরিজম জোন, মহেশখালী এলএমজি টার্মিনালসহ অসংখ্য মেঘা প্রকল্প।

তিনি আরও জানান, কেবল সভাস্থল শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম নয়; পুরো কক্সবাজার শহর জুড়ে হবে জনারণ্য। এবারের জনসভায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জমায়েত হতে পারে। স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে আড়াই লাখের বেশি মানুষ জমায়েত হতে পারবে। এর বাইরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা চত্তর, হলিডের মোড়, শহীদ সরণী এলাকা, কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন হয়ে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত মানুষের জমায়েত হবে।

 

পুরো এলাকা জুড়ে দুই শতাধিক মাইক স্থাপন ও সভাস্থলের সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রীর মূল মঞ্চটি হবে নৌকা আকৃতির। এর সঙ্গে থাকবে ৪টি উপমঞ্চ। যেখানে কেন্দ্রিয় নেতা, জেলা নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে অবস্থান নেবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম চৌধুরী জানান, শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০টা থেকে মানুষের সমাগম শুরু হবে। জেলার বিভিন্ন দূরের উপজেলা থেকে অনেকেই আগের দিন ৬ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরে অবস্থান নেবেন। সভায় যাতে ৫ লাখ মানুষের সমাগমের অসুবিধা না হয় এজন্য সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে পৌর এলাকা জুড়ে সাজ-সাজ পরিস্থিতি চলছে। ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার পৌরসভা থেকে লাখের অধিক মানুষ যোগ দেবে। একই সঙ্গে রামু, ঈদগাঁও থেকে আসবে আরও দেড় লাখ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে মানুষের নগরী হয়ে উঠবে কক্সবাজার।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রকার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ কক্সবাজার এসেছিলেন। দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছরের বেশি সময়ের পর ৭ ডিসেম্বর আবার আসবেন তাই উৎসাহ-উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে কক্সবাজারবাসীর মধ্যে।