ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

  • Update Time : ১১:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১
  • / 176

টানা ১১ দিন রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। আক্ষরিকভাবে এটি যুদ্ধের বিরতি হলেও এই ঘটনা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছে বিজয়ের সমতুল্য। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর রাস্তায় নেমে বিজয়োল্লাস শুরু করেছে তারা।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রধানরা। এক নজরে দেখে নেয়া যাক কে কী বলেছেন-

জাতিসংঘের মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, শান্তি পুনরুদ্ধার ছাড়াও ‘দ্বন্দ্বের’ মূল কারণ সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ শুরু করায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নেতাদের বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করি।

jagonews24

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এই বিভাজনের অবসান ঘটিয়ে সত্যিকারের জাতীয় পুনর্মিলনের জন্য কোনো প্রচেষ্টা বাকি রাখা উচিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমরা জাতিসংঘসহ অন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গাজার জনগণের জন্য দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রদান এবং গাজা পুনর্নির্মাণ চেষ্টায় আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বেঁচে থাকা এবং স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র উপভোগের সমান অধিকার রয়েছে। আমার প্রশাসন এ বিষয়ে নিরলস কাজ করে যাবে।

মিসরীয় প্রেসিডেন্ট
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি বলেছেন, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছি। আমরা ইসরায়েল ও গাজার মধ্যকার বর্তমান বিরোধকে শান্ত করতে পারে এমন একটি সূত্রে পৌঁছানোর বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছি। কূটনীতির মাধ্যমে সব পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসনই আমাদের লক্ষ্য।

মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের দূত
মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত জাতিসংঘের শান্তিদূত টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন, গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে আমি স্বাগত জানাই। সহিংসতায় ভুক্তভোগী ও তাদের প্রিয়জনদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় শান্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য আমি মিসর ও কাতারের প্রশংসা করি। এবার ফিলিস্তিন গড়ার কাজ শুরু হতে পারে।

জাতিসংঘে মার্কিন দূত
জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, এখন আমাদের অবশ্যই স্থায়ী শান্তিপ্রতিষ্ঠার দিকে আরও এগিয়ে যেতে মনোনিবেশ করতে হবে। আর গাজায় প্রচুর পরিমাণে জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

jagonews24

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, ইসরায়েল ও গাজার যুদ্ধবিরতির খবরকে স্বাগত। এটি স্থায়ী করতে এবং বেসামরিক প্রাণহানির অগ্রহণযোগ্য চক্র ভাঙতে সব পক্ষকে অবশ্যই কাজ করতে হবে।

মালয়েশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইন বলেছেন, ইসরায়েলি হামলা শত শত লাশ ফেলে গেছে, কয়েক হাজারকে আহত করেছে। সহিংসতায় ভুক্তভোগী সবার জন্য গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে মালয়েশিয়া। এবার ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক ও পুনর্নির্মাণ সহায়তায় নজর দেয়ার পালা।

সূত্র: আল জাজিরা

Please Share This Post in Your Social Media

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

Update Time : ১১:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মে ২০২১

টানা ১১ দিন রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। আক্ষরিকভাবে এটি যুদ্ধের বিরতি হলেও এই ঘটনা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছে বিজয়ের সমতুল্য। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর রাস্তায় নেমে বিজয়োল্লাস শুরু করেছে তারা।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রধানরা। এক নজরে দেখে নেয়া যাক কে কী বলেছেন-

জাতিসংঘের মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, শান্তি পুনরুদ্ধার ছাড়াও ‘দ্বন্দ্বের’ মূল কারণ সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ শুরু করায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি নেতাদের বাড়তি দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করি।

jagonews24

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এই বিভাজনের অবসান ঘটিয়ে সত্যিকারের জাতীয় পুনর্মিলনের জন্য কোনো প্রচেষ্টা বাকি রাখা উচিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আমরা জাতিসংঘসহ অন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে গাজার জনগণের জন্য দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রদান এবং গাজা পুনর্নির্মাণ চেষ্টায় আন্তর্জাতিক সহায়তা জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বেঁচে থাকা এবং স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র উপভোগের সমান অধিকার রয়েছে। আমার প্রশাসন এ বিষয়ে নিরলস কাজ করে যাবে।

মিসরীয় প্রেসিডেন্ট
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি বলেছেন, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছি। আমরা ইসরায়েল ও গাজার মধ্যকার বর্তমান বিরোধকে শান্ত করতে পারে এমন একটি সূত্রে পৌঁছানোর বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছি। কূটনীতির মাধ্যমে সব পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসনই আমাদের লক্ষ্য।

মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের দূত
মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত জাতিসংঘের শান্তিদূত টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন, গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে আমি স্বাগত জানাই। সহিংসতায় ভুক্তভোগী ও তাদের প্রিয়জনদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। জাতিসংঘের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় শান্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য আমি মিসর ও কাতারের প্রশংসা করি। এবার ফিলিস্তিন গড়ার কাজ শুরু হতে পারে।

জাতিসংঘে মার্কিন দূত
জাতিসংঘে মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, এখন আমাদের অবশ্যই স্থায়ী শান্তিপ্রতিষ্ঠার দিকে আরও এগিয়ে যেতে মনোনিবেশ করতে হবে। আর গাজায় প্রচুর পরিমাণে জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

jagonews24

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, ইসরায়েল ও গাজার যুদ্ধবিরতির খবরকে স্বাগত। এটি স্থায়ী করতে এবং বেসামরিক প্রাণহানির অগ্রহণযোগ্য চক্র ভাঙতে সব পক্ষকে অবশ্যই কাজ করতে হবে।

মালয়েশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইন বলেছেন, ইসরায়েলি হামলা শত শত লাশ ফেলে গেছে, কয়েক হাজারকে আহত করেছে। সহিংসতায় ভুক্তভোগী সবার জন্য গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে মালয়েশিয়া। এবার ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক ও পুনর্নির্মাণ সহায়তায় নজর দেয়ার পালা।

সূত্র: আল জাজিরা